জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: বিশ্ব বসতি দিবস উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (৪ অক্টোবর) দেওয়া বাণীতে রাষ্ট্রপতি সমাজের সব স্তরের মানুষের জন্য নিরাপদ ও বাসযোগ্য আবাসন নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোকে সমন্বিত উদ্যোগ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। অপরদিকে, প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেছেন, ‘সরকার পরিকল্পিত আবাসনের মাধ্যমে ভবিষ্যতের উন্নত নগরায়ন নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করছে। সরকার সবার জন্য আবাসন নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
প্রতিবছর অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার বিশ্ব বসতি দিবস পালিত হয়। সে হিসেবে আগামীকাল (৫ অক্টোবর) সারা বিশ্বে এ দিবস পালিত হবে। সবার জন্য আবাসন নিশ্চিত করাসহ বাসযোগ্য ও নিরাপদ আবাসস্থলের বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ১৯৮৫ সালে জাতিসংঘ বিশ্ব বসতি দিবস উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৮৬ সাল থেকে সারা বিশ্বে বিশ্ব বসতি দিবস পালিত হচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি বলেছেন, ‘আবাসন মানুষের মৌলিক চাহিদার অন্যতম। এর সাথে মানুষের রুচি, সংস্কৃতি, আবহাওয়া, ভৌগলিক অবস্থানসহ নানা উপাদান জড়িত থাকে। তাই আবাসন মানুষের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে মানানসই, আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত হওয়া আবশ্যক। উন্নত দেশগুলোর মতো বাংলাদেশেও গ্রামকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির কেন্দ্রীয় দর্শন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘নগর ও গ্রামের বৈষম্য দূরীকরণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সরকার প্রত্যেক গ্রামে শহরের সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। ‘‘বাংলাদেশ প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০১০-২০২১): রূপকল্প ২০২১’’ এ আবাসন ও অন্যান্য নাগরিক সেবার চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে নগর উন্নয়ন কর্মসূচির রূপরেখা প্রণয়ন করা হয়েছে। সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় পরিবেশ, মৌলিক পরিষেবা এবং নগরায়নের স্থানিক মাত্রা মোকাবিলার মাধ্যমে আবাসনের যোগান নিশ্চিতকরণের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। আবাসন খাতে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ উন্নততর নগরায়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘স্বল্প আয়ের নাগরিকদের জন্য জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা অনুসারে সাশ্রয়ী মূল্যে নগর আবাসন নিশ্চিত করতে অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’
জেলা শহরের পাশাপাশি বিভিন্ন উপজেলায় জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে প্লট ও ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে, এ তথ্য জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘কোনো নাগরিকের যাতে বস্তিতে বসবাস করতে না হয়, সেজন্য সরকার বস্তিবাসীদের জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণ করছে। তাদের জন্য ১৬ হাজারের বেশি ফ্ল্যাট নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে আধুনিক ও সময়োপযোগী প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ কর্মসূচি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘গ্রামে শহরের সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে শতভাগ বিদ্যুতায়ন, গ্রামে পাকা সড়ক নির্মাণ, রেল সংযোগ বৃদ্ধি, ভূমির পরিকল্পিত ও সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিতকরণে ডিজিটাল ল্যান্ড জোনিং, কৃষি ও আবাসনের জমির মধ্যে সামঞ্জস্য রক্ষার উদ্দেশ্যে শহরগুলোর জন্য মাস্টারপ্ল্যান প্রস্তুত করাসহ বহুমাত্রিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।