আদালত প্রতিবেদক: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আরও দুই জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
তারা হলেন- বুয়েটের সিকিউরিটি অফিসার আবুল কালাম আজাদ ও শেরেবাংলা হলের সিনিয়র সুপারভাইজার মতিউর রহমান।
মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাদের জেরা করেন। আবুল কালাম আজাদের জেরা শেষ হলেও মতিউর রহমানের শেষ হয়নি। বুধবার (২১ অক্টোবর) পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।
এনিয়ে মামলাটিতে ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে আবরারের বাবা বরকত উল্লাহসহ ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পেশকার মো. সামসুদ্দিন এতথ্য জানান।
গত ৫ অক্টোবর মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সরকারি ছুটি ছাড়া যা চলবে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত।
এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর একই আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন।
আসামিদের মধ্যে ২২ জন কারাগারে আছেন। তাদের আদালতে হাজির করা হয়। তিনজন পলাতক রয়েছেন। আর ৮ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গত বছরের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলার সিঁড়ি থেকে অচেতন অবস্থায় আবরার ফাহাদকে উদ্ধার করা হয়। দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ওই রাতে হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরার ফাহাদকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পিটিয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে পরের দিন ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ। গত ১৩ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
আবরার বুয়েটের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭ ব্যাচ) শিক্ষার্থী ছিলেন।