নিজস্ব প্রতিবেদক: সড়কে দুর্ঘটনা থেমে নেই। গত পাঁচ বছরে দেশে ২৬ হাজার ৯০২টি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ৩৭ হাজার ১৭০ জন। আহত হয়েছেন ৮২ হাজার ৭৫৮ জন। এ হিসাব বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির।
জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস আজ। চতুর্থবারের মতো আজ ২২ অক্টোবর সারা দেশে দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘মুজিব বর্ষের শপথ, সড়ক করবো নিরাপদ’।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, সড়কপথে মোটরযানের সংখ্যা বৃদ্ধি, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বিপদজনক বাঁক, অপ্রতুল প্রশিক্ষণ, বেপরোয়া গতি এবং আইন না মানার প্রবণতা সড়ক নিরাপত্তার জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসকল্পে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান, রোড সেফটি অডিট পরিচালনাসহ জনসচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মসূচি এ ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে রাষ্ট্রপতি বলেন, সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে পরিবহন মালিক, শ্রমিক, যাত্রি, পথচারী নির্বিশেষে সকলের এ সংক্রান্ত আইন ও বিধি বিধান জানা এবং তা মেনে চলা আবশ্যক।
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধ তথা সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে সরকারের পাশাপাশি পরিবহন মালিক, শ্রমিক, যাত্রী, পথচারী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে স্ব-স্ব অবস্থান থেকে একযোগে কাজ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সড়ক দুর্ঘটনাজনিত জীবন ও সম্পদের ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে সড়ক নিরাপত্তামূলক কর্মকান্ড জোরদার করা অপরিহার্য। এজন্য সরকার মহাসড়ক ৪ লেন বা তদূর্ধ্ব লেনে উন্নীতকরণ, ফ্লাইওভার এবং ওভারপাস নির্মাণ, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান, দুর্ঘটনা প্রবণ স্থান চিহ্নিত করে এর প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
সারাদেশে সরকারি-বেসরকারিভাবে বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে দিবসটি গুরুত্বের সঙ্গে উদযাপন করছে।
এই উপলক্ষে আজ ঢাকার বানানীতে বিআরটিএ ভবনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে (ভার্চুয়ালি) উপস্থিত থাকবেন। এতে সভাপতিত্ব করবেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। স্বাগত বক্তব্য রাখবেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম। সভায় সড়ক পরিবহন সেক্টর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারগণ উপস্থিত থাকবেন।
জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ, সচিবালয় ও বিআরটিএ সদর কার্যালয় গেট, ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন সড়কদ্বীপ এবং ফুটওভারব্রিজ ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড, ব্যানার ইত্যাদি দিয়ে সজ্জিতকরণ, ড্রাইভার প্রশিক্ষণ, ঢাকা মহানগরীর ৪টি বাস টার্মিনালে (গাবতলী, মহাখালী, সায়দাবাদ ও ফুলবাড়িয়া) মোটরযান মালিক, চালক, যাত্রী ও জনসাধারণের অবলোকনের জন্য টিভি মনিটরের মাধ্যমে মূল অনুষ্ঠান প্রদর্শনের আয়োজনসহ সড়ক নিরাপত্তা সংক্রান্ত লিফলেট, পোস্টার, স্টিকার বিতরণ ও প্রদর্শনের ব্যবস্থা গ্রহণ।