বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ০৫:২৮ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান
সংবাদ শিরোনাম ::
কুমিল্লায় স্কুল থেকে ফেরার পথে ৯ বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা ৩য় দিন সিলেটে জাতীয় পার্টির ছাতা, বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ সিলেটে জাতীয় পার্টির বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ শিক্ষাবিদ হাসানুজ্জামানের ‘বিদেশে উচ্চশিক্ষা’ বই প্রকাশিত হলো কুমিল্লা সিটি করপোরেশনর কাজ পরিদর্শন করেন মেয়র ডা: তাহসিন বাহার সূচনা ভারতের মসলা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্বেগ গরমে অসুস্থ হয়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অযত্নে পড়ে আছে ৬৫০ কোটি টাকার ডেমু ট্রেন, অনিয়ম-দুর্নীতিতে স্বপ্নভঙ্গ দক্ষিণখানে রিকশাচালকদের মাঝে পানি বিতরণ করলেন খন্দকার সাজ্জাদ

ভারত নারী কমান্ডার চায় না সেনাবাহিনীতে

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
  • ১৭৬ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সেনাবাহিনীতে নারী অফিসারদের নেতৃত্ব বাহিনীর সদস্যরা নাও মানতে পারে বলে মনে করছে ভারত সরকার। সে কারণে ভারত সরকার সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে সেনাবাহিনীতে নারী অফিসারদের নেতৃত্বদানকারী পদ দেয়াটা অনুচিত হবে।

নারীরা কোনও অংশেই পুরুষদের থেকে কম নন এটা স্বীকার করেও যুক্তি হিসেবে বলা হয়েছে, কমান্ডিং অফিসার পদে যদি নারীরা থাকেন তাহলে বাহিনীর সদস্যরা, যাদের অধিকাংশই গ্রামাঞ্চল থেকে আসেন, তারা নারী অফিসারকে নাও মেনে নিতে পারেন।

এছাড়াও নারীদের শারীরিক ও মানসিক ক্ষমতা পুরুষ অফিসারদের থেকে কম এবং যদি যুদ্ধ-বন্দী হিসাবে নারী অফিসাররা ধরা পড়েন শত্রু দেশের হাতে, তখন তাদের বেশি বিপদের মুখে ঠেলে দেয়া হবে।

তবে প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তা থেকে শুরু করে আইনজীবী – অনেকেই সরকারের এই মনোভাবের সমালোচনা করছেন।

সুপ্রিম কোর্টের যে বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলাটির শুনানি চলছে, তারাও বলেছে মানসিকতার পরিবর্তন হলেই নারী অফিসারদের কমান্ডার হিসাবে নিয়োগ করা যায়।

১৯৯২ সাল থেকেই ভারতে সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকটি শাখায় শর্ট সার্ভিস কমিশনড অফিসার হিসাবে নারীদের নিয়োগ করা শুরু হয়। সরাসরি যুদ্ধে নারীদের এখনও পাঠানোর নিয়ম নেই, তারা সহযোগী শাখায় কাজ করেন নারীরা।

কিন্তু সেসব শাখাতেও তাদের কখনই স্থায়ীভাবে কমিশন করা হয়নি। স্থায়ী কমিশন্ড অফিসার হয়ে গেলেই নারীদেরও কমান্ডার হিসাবে নিয়োগ করতে হবে নানা শাখায়। সেখানেই আপত্তি সরকারের।

সেনাবাহিনীতে নারী অফিসারদের নিয়োগ করা নিয়ে প্রাথমিকভাবে আপত্তি তুলেছিলেন দেশের শীর্ষ সেনা অফিসারদের একাংশও। তাদেরই মধ্যে ছিলেন সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল শঙ্কর রায় চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি এবং আরও কয়েকজন সিনিয়ার অফিসার আপত্তি করেছিলাম বাহিনীতে সরাসরি যুদ্ধের ক্ষেত্রে নারীদের নিয়োগের ব্যাপারে। কিন্তু সরকার যখন সিদ্ধান্ত নিল, সেটা সেনা অফিসার হিসাবে আমরা মানতে বাধ্য।’

‘তবে একবার যখন নারীদের নিয়োগের সিদ্ধান্ত সরকার নিয়েছে, তাহলে তাদের কেন কমান্ডিং অফিসার হিসাবে নিয়োগ করা যাবে না? নারী অফিসাররা যাতে নেতৃত্ব দেওয়ার কাজটা সুষ্ঠুভাবে করতে পারে, সে জন্য সংশ্লিষ্ট যাবতীয় বাধা সরকারকেই দূর করতে হবে।’

২০১০ সালে দিল্লি হাইকোর্ট নারী অফিসারদেরও স্থায়ী কমিশন্ড অফিসার হিসাবে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই মামলাই এখন সুপ্রিম কোর্টে গেছে।

নারী সেনা অফিসারদের হয়ে যিনি সুপ্রিম কোর্টে মামলাটি লড়ছেন, সেই সিনিয়ার অ্যাডভোকেট ঐশ্বর্যা ভাট্টি বলেন, গত ২৬-২৭ বছর ধরে নারী অফিসাররা সেনাবাহিনীর ১০টি শাখায় কাজ করছেন এবং তারা বার বার নিজেদের দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন।

‘তারা কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় কাজ করেন। বাহিনীর পুরুষ অফিসারদের যত বিপদের ঝুঁকি নিতে হয়, ওই এলাকায় নিযুক্ত নারী অফিসারদেরও ঝুঁকি ঠিক ততটাই। কিন্তু তবুও নারীদের স্থায়ী কমিশন্ড অফিসার হতে দেয়া হচ্ছে না। এর ফলে একই ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেও নারী অফিসাররা দ্বিতীয় শ্রেণির অফিসার হয়ে থাকছেন।’

উদাহরণ হিসাবে সিনিয়ার অ্যাডভোকেট মিজ. ভাট্টি বলেন, ‘বালাকোটে যখন আকাশে দুই দেশের বিমানবাহিনীর মুখোমুখি যুদ্ধ চলছে, সেই গোটা অপারেশনের ফ্লাইট কন্ট্রোলার ছিলেন স্কোয়াড্রন লিডার মিন্টি আগরওয়াল। এর জন্য তিনি যুদ্ধ সেনা মেডেল পেয়েছেন। বিমানবাহিনীতে যুদ্ধ বিমানও চালাতে দেয়া হচ্ছে নারীদের। তাহলে সেনাবাহিনীতে নারীদের স্থায়ী কমিশন্ড অফিসার করতে আপত্তি কেন? আমার তো মনে হয় এটা শুধুই মানসিকতার সমস্যা।’

২০২০ সালের ভারতের গণতন্ত্র দিবসের প্যারেডেরও নেতৃত্ব দিয়েছেন ক্যাপ্টেন তানিয়া শেরগিল নামের এক তরুণ নারী অফিসার।

ভারতের এলিট কম্যান্ডো বাহিনী ন্যাশানাল সিকিউরিটি গার্ডসের (এনএসজি) প্রাক্তন কম্যান্ডো দীপাঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, অজস্র উদাহরণ আছে দেশের নানা পুলিশ এবং আধা সামরিক বাহিনীগুলোতে, যেখানে নারী অফিসাররা নেতৃত্বদানকারী পদে রয়েছেন। এমনকী এখন তো এনএসজিতেও নারী কম্যান্ডোরা আছেন। শারীরিক এবং মানসিক দিক থেকে তারা কোনও অংশে পুরুষের থেকে কম নন। তাহলে সেনাবাহিনীতেই বা যুদ্ধ করার প্রয়োজন হলে নারীরা পারবেন না কেন?’

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com