নিজস্ব প্রতিবেদক : মাঠে পাকা ধান। আর পাকা ধান মানেই সোনালি স্বপ্ন। কিন্তু শ্রমিক সংকটের কারণে তা কেটে ঘরে তুলতে পারছিলেন না কৃষক বাবুল মাতব্বর।
এদিকে মাথার ওপরে কালবৈশাখীর আশঙ্কা, ইতিমধ্যে ঝড়ো বাতাসে ধান শুয়ে পড়ছে। বিলেও পানি উঠতে শুরু করছে। এই খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান টঙ্গী থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোশিউর রহমান সরকার বাবুর নেতৃত্বে ৪০ জন নেতাকর্মী। দুশ্চিন্তায় থাকা কৃষকের সেই ধান কেটে ঘরে পেঁছে দিলেন স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
চলতি মৌসুমের আগাম ইরি-বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। তবে ধানের বাম্পার ফলন হলেও করোনা আতঙ্কে তা কাটার শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় শ্রমিক সংকটে থাকা এলাকাগুলোতে ধান কেটে কৃষককে সহায়তা করছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
সোমবার (২০ এপ্রিল) দিনভর গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৫০ নং ওয়ার্ডের গাজীপুরায় বিলে বর্গা চাষি বাবুল মাতব্বরের ২ বিঘা জমির ধান কেটে দেন তারা। ধান কাটা শেষে নেতাকর্মীরা কৃষক বাবুল মাতব্বরের বাড়িতে তা পৌঁছে দেন।
এ সম্পর্কে মোশিউর রহমান সরকার বাবু বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশে আমরা কৃষকের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। ছাত্রলীগ যেকোনো মানবিক সংকটে সাধারণ মানুষের পাশে থাকে। স্থানীয়দের মাধ্যমে শ্রমিক সংকটের খবর পেয়ে সেখানে কাঁচি-মাথাল নিয়ে হাজির হই।
তিনি আরও বলেন, ‘যেকোনো দুর্যোগ, ক্রান্তিলগ্নে সাধারণ মানুষ ছাত্রলীগকে পাশে পেয়েছে। এবারও করোনা মোকাবিলায় জনগণ ও বোরো মৌসুমে কৃষকদের পাশে থেকে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আজ ২ বিঘা জমির ধান কেটে কৃষকের বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি। আমাদের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’
কৃষক বাবুল মাতব্বর বলেন, ‘শ্রমিক সংকটে আমার ২ বিঘা জমির ধান কাটতে পারছিলাম না। দিশেহারা হয়ে পড়েছিলাম। পরে ছাত্রলীগকে বিষয়টা অবহিত করেছিলাম, সঙ্গে সঙ্গে তারা এগিয়ে এসেছে। বাবু ভাই ও তার কর্মীরা বিনা পারিশ্রমিকে জমির ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়েছে। খুব ভালো লাগছে, তাদের কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ হয়ে রইলাম।’
একইসঙ্গে সারাদেশে খাদ্য সংকটে থাকা অসহায় মানুষের বাড়িতে বাড়িতে খাদ্য সহায়তা তুলে দিচ্ছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।