নোয়াখালী প্রতিনিধি: করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পাওয়ায় নোয়াখালী সদর ও বেগমগঞ্জ উপজেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৯ জুন) সকাল ৬টা থেকে ফের লকডাউন শুরু হয়েছে এবং তা আগামী ২৩ জুন পর্যন্ত চলবে। এ জেলায় এখন পর্যন্ত ১০৬৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ও ৩০ জন মারা গেছেন।
প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, লকডাউন চলাকালীন সময় এই দুই উপজেলা থেকে কোনও মানুষ অন্য উপজেলায় যাতায়াত করতে পারবে না। অভ্যন্তরীণ সকল প্রকার যানবাহন বন্ধ থাকবে। তবে, খাদ্য, ডাক ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহকারী যানবাহন, চিকিৎসক, পুলিশ ও গণমাধ্যম কর্মীদের বহনকারী যানবাহন চলবে। এছাড়া, মুদি দোকান সপ্তাহে দুইদিন রবিবার ও বৃহস্পতিবার এবং কাঁচা বাজার সপ্তাহে তিনদিন রবিবার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ফার্মেসি খোলা থাকবে জোন ভিত্তিক।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোমিনুর রহমান আজ মঙ্গলবার (৯ জুন) এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, নোয়াখালীতে আরও ৬০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে বেগমগঞ্জে ২৫ জন, সদরে এক পরিবারে ৬ জন এবং এক পরিবারে ৫ জনসহ ৩০, হাতিয়ায় ৩ পুলিশ সদস্য, সেনবাগ ১ ও কবিরহাট ১ জনসহ আরও ৬০ জনের করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১০৬৯ জন। এছাড়াও, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০ এবং সুস্থ হয়েছেন ২০১ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১০৬৯ জন, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২০১ জন।
তিনি আরও জানান, বেগমগঞ্জে ৪৮০ জন, কবিরহাটে ৭৭, সদরে ২৭৩, চাটখিলে ৭১, সোনাইমুড়ীতে ৫৫, সুবর্ণচর ২৮, সেনবাগে ৬৭, কোম্পানীগঞ্জে ৯ ও হাতিয়ায় ৯ জনসহ জেলায় মোট ১০৬৯ জনের করোনা শনাক্ত হলো। এর মধ্যে, বেগমগঞ্জে ৬৮ জন, সদরে ৩২, কবিরহাট ৩০, চাটখিল ২৫, সোনাইমুড়ি ২৩, কোম্পানীগঞ্জ ৮, সেনবাগ ৬, হাতিয়ায় ৫, সুবর্ণচর ৪ ও জনসহ মোট ২০১ জন আইসোলেশন থেকে করোনাকে জয় করে বাড়ি ফিরেছেন। বেগমগঞ্জে ১৮, সেনবাগে ৫, সদরে ৩, সোনাইমুড়িতে ২, সুবর্ণচরে ১ ও চাটখিলে ১ জনসহ মোট ৩০ জন মারা গেছেন।
এর মধ্যে, ৭৯০ জন হোম আইসোলেশন ও ৪৮ জন জেলা কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন।
সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, উপজেলায় ৩০ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে করোনা পজিটিভ আসে। এদের মধ্যে নোয়াখালী পৌরসভার সোনাপুর এলাকার এক পরিবারে ৬ জন এবং এক পরিবারে ৫ জন রয়েছে। তাদেরকে হোম আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া, তাদের বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করে, তাদের সংস্পর্শে আসা অন্যান্যদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে।