ক্রীড়া ডেস্ক: ‘এই অধ্যায়ের সমাপ্তি খুব কঠিন, তবুও আমি চেষ্টা করছি। এই আশ্চর্যজনক স্বপ্নের মধ্য দিয়ে জীবন পার করায় আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ। এখন নতুন কোনও রোমাঞ্চকর অধ্যায়ের পথে… ধন্যবাদ।’- এই এক টুইটে প্রায় ২০ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ইতি টানা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন শেন ওয়াটসন। তার এই লম্বা অধ্যায়ের শেষ ম্যাচটি ছিল রোববার। কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে চেন্নাই সুপার কিংসের ম্যাচের পর একেবারে ব্যাট-প্যাড তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন।
সাদা বলে বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ওয়াটসন ২০১৬ সালের মার্চে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। গত বছর বিগ ব্যাশ লিগ ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ার পর কেবল বিদেশি খেলোয়াড় হিসেবে টি-টোয়েন্টি লিগ খেলছিলেন তিনি। এবার তা-ও ছেড়ে দিলেন। তার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচটি ছিল ২৯ অক্টোবর দুবাইয়ে, কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে। ওই ম্যাচে তার ব্যাটে আসে ১৪ রান। চেন্নাইয়ের হয়ে এই আসরে ২৯.৯০ গড়ে ১২১.০৫ স্ট্রাইক রেটে ২৯৯ রান করেছেন ওয়াটসন।
অবসর ঘোষণার বেলায় ডানহাতি অলরাউন্ডার জানান, অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে খেলার স্বপ্ন তিনি দেখতে শুরু করেন মাত্র পাঁচ বছর বয়সে। মার সঙ্গে একটি টেস্ট ম্যাচ দেখার পর এই খেলার প্রতি তার ভালোবাসা জন্ম নেয়। বাবা-মার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে ওয়াটসন বলেছেন, “প্রথমে আমি আমার মা ও বাবাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। পাঁচ বছর বয়সে একটা টেস্ট ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলাম মার সঙ্গে, তাকে বলেছিলাম, ‘আমি অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলতে চাই।’ আমার স্বপ্নটা উপলব্ধি করাতে তারাই সব কিছু করেছেন। অনেক বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছেন তারা।”
তিনি যোগ করেছেন, ‘আমি এখন আনুষ্ঠানিকভাবে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিচ্ছি। এত এত ইনজুরির পরও আমি লম্বা পথ পাড়ি দিলাম, ৩৯ বছর বয়সে এসে খেলা শেষ করে আমি সত্যিই নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি।’
অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে ২০০৭ ও ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ জিতেছেন ওয়াটসন। ২০১২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় হন তিনি। ৫৯ টেস্ট খেললেও এই ডানহাতি অলরাউন্ডার প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতেই। খেলেছেন ১৯০টি ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি ৫৮টি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শেষ করেছেন ১০ হাজার ৯৫০ রান নিয়ে।