পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী বুধবার (২০ এপ্রিল) থেকে যাত্রী পারাপারের জন্য সারাদেশের বিভিন্ন নৌপথে নিয়মিত লঞ্চের পাশাপাশি বিশেষ লঞ্চ চলাচল শুরু হবে। সেই সঙ্গে একইদিন থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এ সময় যাত্রীবাহী লঞ্চে মোটরসাইকেল বহনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। রোববার বিআইডব্লিউটিএ’র এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক আলমগীর কবির বলেন, ঈদে ঘরমুখো ও ঈদ ফেরত যাত্রী পরিবহনের সুবিধার্থেই বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগামী ২০ এপ্রিল থেকে লঞ্চ মালিকরা চাইলে কেবিনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করতে পারবেন। তবে ২৭ তারিখ থেকে মূলত ঈদযাত্রা শুরু হবে।
তিনি বলেন, ঈদের পাঁচদিন আগে ও পাঁচদিন পর পর্যন্ত টার্মিনালে লঞ্চের মাধ্যমে কোনো মোটরসাইকেল যাতায়াত করতে পারবে না। এই ১০ দিন নদীতে কোনো বাল্কহেড চলতে পারবে না। এছাড়া লঞ্চে যাতায়াতকারীদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেখানো ও সংরক্ষণ করা বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিশেষ করে কেবিনে যাতায়াতকারীদের এনআইডি সংরক্ষণ করতে লঞ্চ মালিক-শ্রমিকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এ কর্মকর্তা আরো বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রীদের লঞ্চে যাতায়াত করতে হবে। অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে কোনো লঞ্চ ঘাট থেকে ছাড়তে পারবে না। এসব দেখভাল করার জন্য ঘাটে একজন ম্যাজিস্ট্রেটসহ বিশেষ টিম থাকবে। যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা না হয়।