মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ সাম্প্রতিক সমস্যায় সরকারের নেয়া পদক্ষেপ জাতিকে জানাতে কার্যপ্রণালি বিধির ১৪৭ বিধির আওতায় আনা সাধারণ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
আলোচনায় জাতীয় পার্টি-বিএনপির সময়কালে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সমস্যা নিয়ে কথা বলেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী। কানসাট, ডেমরায় পানি-বিদ্যুৎ আন্দোলন, পানি-বিদ্যুতের কষ্ট, বিদ্যুতের দাবির আন্দোলনে পুলিশের গুলি, মানুষ হত্যা, বিদ্যুতে লুটপাট, তেল সংকট, খাম্বা সিন্ডিকেটসহ নানা ঘটনার চিত্র তুল ধরেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমার মনে হয় বিরোধী দলের গোল্ডফিশ মেমোরি। সবকিছু তারা ভুলে গেছেন। তারা উটপাখির মতো মাথাটা বালুর নিচে দিয়ে রাখতে চান। বিশ্বে কী ঘটনা ঘটছে কিছুই তাদের আসে যায় না। সেই একই ভাঙা রেকর্ডের মধ্যেই তারা ঘুরপাক খাচ্ছেন।
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জানুয়ারি মাসে হঠাৎ ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হলো। তখন ১৭০ ডলার হয়েছিল জ্বালানি তেলের দাম। সেই সময় দাম বাড়ালে প্রতি লিটার ৬০ টাকা হতো। আমরা অপেক্ষায় ছিলাম দামটা একটু কমুক। তখন অ্যাডজাস্টমেন্টে যাবো। দাম আস্তে আস্তে কমে ১৩৯ ডলার যখন হয়েছে। ভারতের থেকে তখনও আমাদের ৪০ টাকা লিটারপ্রতি পার্থক্য ছিল। আশঙ্কা ছিল ভারতে তেল পাচার হয়ে যাওয়ার। সেই কারণে ব্যবস্থা নিতে হয়েছে। বৈশ্বিক অবস্থা, তেলের ঘাটতি, ঊর্ধ্বমুখী তেলের দাম এবং পাচার হওয়ার ঘটনা অনেক কিছু মিলিয়ে আমাদের দাম সমন্বয় করতে হয়েছে।
নসরুল হামিদ বলেন, ২০০৯ সালে এক কোটি গ্রাহকের কাছে বিদ্যুৎ ছিল। এখন সাড়ে চার কোটি গ্রাহকের কাছে বিদ্যুৎ। দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ আছে। সাড়ে ৫ লাখ কিলোমিটার ট্রান্সমিশন লাইন হয়েছে। বিশ্বে বিদ্যুতের স্ট্যান্ডার্ড সিস্টেম লস হচ্ছে ৭.৬ শতাংশ। এটা জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় থাকতে ছিল ৪৪ শতাংশ। বিএনপির সময় ছিল ২২ শতাংশ। আর এখন ৭ শতাংশ।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যার হাত ধরে আমরা বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দেশ হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী ধীরে ধীরে বাংলাদেশকে উন্নত দেশের তালিকায় নিয়ে যাচ্ছেন।