ক্রীড়া প্রতিবেদক: বিশ্ব ক্রিকেটের সব দেশের ক্রিকেটারই এক দেশ থেকে আরেক দেশে খেলে বেড়ান ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ক্রিকেট টুর্নামেন্টে। ব্যতিক্রম শুধু ভারতীয় ক্রিকেটাররা। ক্রিকেট বোর্ডের অনুমতি না থাকায় নিজ দেশের বাইরে কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট খেলতে পারেন না তারা।
শুধু তাই নয়। দেশের বাইরে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের ব্যাপারে এতোটাই কঠোর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড যে, সবশেষ ক্যারিবীয়ান সুপার লিগের এক ম্যাচে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের ড্রেসিংরুমে থাকার অপরাধে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেখেছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক।
এ থেকেই বোঝা যায় অন্য দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে খেলাটা ঠিক কতোটা কঠিন ভারতের খেলোয়াড়দের জন্য। তবে এবার এই অসাধ্য সাধনের মিশনেই যেনো নেমেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে ভারতীয় ক্রিকেটারদের অন্তর্ভুক্ত করতে।
শনিবার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) নবনিযুক্ত সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলির সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক এক বৈঠকে বসেছিলেন নাজমুল হাসান পাপন। যেখানে তিনি কথা বলেছেন দুই দেশের ক্রিকেটীয় সম্পর্কের উন্নতিসহ নানান বিষয়ে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অসমর্থিত সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই আলোচনায় বিপিএলে ভারতীয় ক্রিকেটার খেলানোর আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিয়েছেন পাপন। এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক হ্যাঁ বা না কিছুই বলেননি গাঙ্গুলি। ধারণা করা হচ্ছে, দুই দেশের ক্রিকেটীয় সম্পর্কের কথা বিবেচনা করে বিপিএলে নিজ দেশের খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণের অনুমতি দেবেন বিসিসিআই সভাপতি।
এতে অবশ্য শুধুমাত্র গাঙ্গুলির অনুমতিই শেষ কথা নয়। তার কাছ থেকে অনুমতি পাওয়ার আগে দেখতে হবে আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের কথাও। কেননা আইপিএলের চুক্তিতেও উল্লেখ থাকে অন্য কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজিতে খেলতে পারবেন না ভারতীয় ক্রিকেটাররা। এছাড়া ক্রিকেটারদের সম্মতিরও একটি বিষয় থেকেই যায়।
তবে সব বাধা পেরিয়ে শেষপর্যন্ত ভারতীয় ক্রিকেটাররা বিপিএল খেলার অনুমতি পেলেও, শীর্ষ পর্যায়ের খেলোয়াড়রা যে আসবেন না তা একপ্রকার নিশ্চিত। হয়তো বা ঘরোয়া ক্রিকেট মাতানো বি ক্যাটাগরির খেলোয়াড়দের পাঠাতে পারে ভারত। যাদের দেখা যেতে পারে বিপিএলের আগামী মৌসুমে।
কেননা চলতি মৌসুমের বিপিএল প্লেয়ার্স ড্রাফট অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৭ নভেম্বর। সে জন্য করা বিদেশি খেলোয়াড়দের তালিকায় নেই কোনো ভারতীয়র নাম। যার ফলে হুট করেই সাত দিনের মধ্যে ভারতীয় খেলোয়াড়দের বিপিএল খেলার অনুমতি পাওয়া ও ড্রাফটে নাম ওঠানো বেশ ঝক্কি ঝামেলারই হবে।
তাই সব ঠিকঠাক হলে আগামী মৌসুমের বিপিএল থেকে প্রথমবারের মতো দেখা মিলতে পারে ভারতীয় ক্রিকেটারদের।