নিজস্ব প্রতিবেদক:
এইচএসসি পরীক্ষার পর বিয়ে হয়ে যাওয়া স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে সংসার পরিচালনার কাছে হার মানেনি। একজন সংগ্রামী নারী, সংসার এবং ক্যারিয়ার সমানতালে এগিয়ে নিয়েছেন। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হলেন সোহানা শারমিন।
জন্মসূত্রে কক্সবাজার জেলার রামু থানার অন্তর্ভুক্ত খুনিয়া পালং ইউনিয়নের জহিরুল হক শিকদারের বড় মেয়ে ও ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানার বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ নাফিজ মাহবুব এর স্ত্রী এডভোকেট সোহানা শারমিন। এডভোকেট সোহানা শারমিন অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনামের সাথে ঢাকা জজ কোর্ট ও হাইকোর্ট ডিভিশনে তালিকাভুক্ত হয়ে গত চার বছর যাবত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য আইন পেশায় নিজেকে নিযুক্ত রেখেছেন। বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য ইউনিভার্সিটি থেকে এলএলবিতে মাস্টার্স কমপ্লিট করার পর প্রথমে নিম্ন আদালতের অ্যাডভোকেট পরবর্তীতে উচ্চ আলাদতে আইনজীবী হিসেবে কর্মরত।এছাড়াও ভিবিন্ন সামাজিক সংগঠনে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখে দেশ ও জাতির কল্যাণে নিয়মিত আত্মনিয়োগ করে যাচ্ছেন। এডভোকেট সোহানা শারমিনের পারিবারিক জীবনে দুই সন্তানের জননী তাছাড়া স্বামী একজন রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক। এইচএসসি পরীক্ষার পর বিয়ে হয়ে যায় এই নারী আইনজীবীর,
সাধারণত সমাজে বিবাহিত নারীরা পিছিয়ে যায় কিংবা থেমে থাকে কিন্তু এডভোকেট সোহানা শারমিন একজন সংগ্রামী নারী, সংসার এবং ক্যারিয়ার সমানতালে এগিয়ে নিয়েছেন। সুবিধাবঞ্চিত নারী ও শিশুদের বিনামূল্যে আইনি সেবা প্রদান করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছেন।
সোহানা শারমিন আরও বলেন – মেয়েদের নিজের একটা সুনির্দিষ্ট পরিচয় তৈরি করা উচিত, পৃথিবীতে কেউ কাউকে চেয়ার ছেড়ে দেয়না, নিজের কর্মদক্ষতা এবং সততার সঙ্গে অর্জন করতে হয়। সৎ উদ্দেশ্যে পরিশ্রম করলে সফলতা অবশ্যই আসবে, নারীদের চলার পথ কখনোই সুগম ছিল না, একজন বউ, মা হিসেবে সেই পথ যথেষ্ট কঠিন। আগামী পাঁচ বছর পর নিজেকে কোথায় দেখতে চাইবেন সেই পরিকল্পনা এবং লক্ষ্য আপনাকে আজই স্থির করতে হবে। ছোটোবেলা থেকে মেধাবী এই আইনজীবী আরও বলেন নারীদের জন্য পরিবার হচ্ছে বড় শক্তি।
বাংলাদেশের অধিকাংশ নারী প্রথম বঞ্চনার শিকার হয় মোটামুটিভাবে পরিবার কিংবা কাছের মানুষের কাছ থেকে তাই নারীদের এগিয়ে যাওয়ার পথটা সুগম করতে হয় মোটামুটি পরিবারকে। স্বামী রাজনীতিবিদ নাফিজ মাহবুব সবসময় সহযোদ্ধা হিসেবে পাশে ছিলেন বলেই পথচলা মোটামুটি সহজ ছিল।
মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সবসময় সৎ চেষ্টা থাকবে এবং সব ধরনের অধিকার বঞ্চিত নারীদের নিয়ে কাজ করাই একমাত্র লক্ষ্য আমার।