সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শামিম আহমদ চৌধুরীর নির্বাচনী হলফনামার শপথ অংশে ‘নির্বাচনী এলাকা হইতে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরূপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করিতে ইচ্ছুক’ লেখা হলফনামার একটি কপি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে এরইমধ্যে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। তবে শামিম আহমদের দাবি, এমনটি তিনি লেখেননি, কেউ এটি এডিট করে ফেসবুকে ছেড়েছেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৫ আসনে (ছাতক ও দোয়ারাবাজার) আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শামিম আহমদ চৌধুরী দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ জন্য তিনি নির্বাচনী এলাকার মোট ভোটারের মধ্যে ১ শতাংশ ভোটারদের সমর্থনসহ তালিকাও মনোনয়নপত্রের সঙ্গে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের জমা দিয়েছেন। তার মনোনয়নপত্র বৈধ বলে বিবেচিত হয়েছে।
কিন্তু শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তার হলফনামার একটি কপি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যায়, হলফনামার প্রথম পাতায় নাম, পিতা-মাতার নাম, ঠিকানা ও নির্বাচনী এলাকার নম্বর ও নামের পরই রয়েছে শপথ অংশ। ওই স্থানে শপথে লেখা ‘নির্বাচনী এলাকা হইতে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরূপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করিতে ইচ্ছুক’।
এ বিষয়ে শামিম আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘আমি হলফনামায় এ ধরনের কিছু লিখিনি। সঠিকভাবে মনোনয়নপত্র দিয়েছি। আমি আওয়ামী পরিবারের সন্তান, জাতীয় পার্টির কথা লিখতে যাব কেন? এটা আমার বিরোধীরা এডিট করে ফেসবুকে প্রচার করে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।’
তবে রিটার্নিং কর্মকর্তারা কার্যালয় থেকে সংগ্রহ করা শামিম আহমদ চৌধুরীর হলফনামার শপথ অংশে ‘নির্বাচনী এলাকা হইতে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরূপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করিতে ইচ্ছুক’ লেখাটি রয়েছে।
যেকোনো প্রার্থীর হলফনামার এই অংশে সাধারণত ‘নির্বাচনী এলাকা হইতে প্রার্থীরূপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করিতে ইচ্ছুক’ লেখা হয়ে থাকে।
সুনামগঞ্জ-৫ আসনে এবারও আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক। তিনি এ আসন থেকে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। শামিম আহমদ চৌধুরী ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক। তার বড় ভাই আবুল কালাম চৌধুরী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ছাতক পৌরসভার টানা তিনবারের মেয়র।