আন্তর্জাতিক ডেস্ক,সিটিজেন নিউজ: মালয়েশিয়ায় আশ্রয় নেয়া ভারতের বিতর্কিত ইসলামী বক্তা জাকির নায়েকের দায়ের করা মানহানির মামলায় দেশটির দুজন মন্ত্রীসহ পাঁচ ব্যক্তিকে তলব করেছে পুলিশ। সিঙ্গাপুরভিত্তিক সংবাদমাধ্যমে গতকাল সোমবার এক অনলাইন প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
অনলাইন প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বুকিত আমান পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিচালক হুজির মোহাম্মদ জানিয়েছেন, জাকির নায়েকের দায়ের করা মানহানির মামলায় কেন্দ্রীয় সরকারের একজন মন্ত্রী ও পেনাং রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রীকে তলব করেছে তারা।
গত ১৪ আগস্ট জাকির নায়েককে মালয়েশিয়ায় স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি দেয়া নিয়ে দেশটির মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিন মন্ত্রী তাকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছিলেন। মালয়েশিয়ার ওই তিন মন্ত্রী জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে জাতি বিদ্বেষের অভিযোগ আনেন।
সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিয়ে বর্ণবাদী মন্তব্যের জেরে জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে পুলিশি তদন্ত চলছে মালয়েশিয়ায়। তিনবার দেশটির পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তারই প্রেক্ষিতে গত ১৬ আগস্ট দেশটির এক মন্ত্রীসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে পাল্টা মানহানির মামলা করেন জাকির নায়েক।
জাকির নায়েকের মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের জনসম্পদ বিষয়ক মন্ত্রী কুলাসেগারান, সাবেক রাষ্ট্রদূত ডেনিস ইগনাশিয়াস, পেনাং রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী পি রামাসামি, বাগান দালামের প্রতিনিধি সাতিস মুনিয়ান্দি এবং ক্লাংইয়ের এমপি চার্লস সান্তিয়াগো।
সিআইডি পরিচালক হুজির মোহাম্মদ বলেন, ‘আমরা এর আগেও তাদের ডেকেছিলাম। কিন্তু তারা আসেননি। আগামী সপ্তাহের মধ্যে অবশ্যই তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে।’ খুব শিগগিরই তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করতে চান বলে জানিয়েছেন তিনি।’
জাকির নায়েক তিন বছর ধরে মালয়েশিয়ায় বসবাস করছেন। ভারতীয় এই ইসলামিক বক্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি অর্থপাচারের সঙ্গে জড়িত এবং জাতিগত বিদ্বেষ ছড়িয়েছেন। সম্প্রতি মালয়েশিয়ার হিন্দু সম্প্রদায় নিয়ে এক মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি।
জাকির নায়েক সম্প্রতি এক বক্তৃতায় বলেন, ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের চেয়ে মালয়েশিয়ার সংখ্যালঘু হিন্দুরা ১০০ গুণ বেশি অধিকার ভোগ করে। প্রসঙ্গত, মালয়েশিয়ার ৬০ শতাংশ মুসলিম বাদে বাকি ৪০ শতাংশ মানুষের অধিকাংশই চীনা ও ভারতীয় বংশোদ্ভূত।