শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩২ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

৬ মাসে শিশুধর্ষণ বেড়েছে ৪১ শতাংশ

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০১৯
  • ২৭৬ বার পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদক: শিশু হত্যা, ধর্ষণ ও গৃহকর্মী শিশুর ওপর অত্যাচার বেড়েই চলছে। বিশেষ করে ধর্ষণের ঘটনা অনেকাংশেই বেড়ে গেছে। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসেই (জানুয়ারি-জুন) ৪৯৬ জন শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। অথচ গত বছরে (১২ মাস) এই সংখ্যা ছিল ৫৭১ জন। ফলে গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে দেশে শিশু ধর্ষণ বেড়েছে ৪১ শতাংশ, যা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

রোববার (৬ অক্টোবর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ উপলক্ষে অ্যাকশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট (এএসডি) ও বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরাম আয়োজিত ‘শিশু অধিকার ও বর্তমান পরিস্থিতি’ শীর্ষক সংবাদ সন্মেলনে ওই তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন এএসডির ডিসিএইচআর প্রজেক্টের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ইউ কে এম ফারহানা সুলতানা। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন এএসডির নির্বাহী পরিচালক জামিল এইচ চৌধুরী ও বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের পরিচালক আবদুছ সহিদ মাহমুদ, এএসডির মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন ম্যানেজার লুৎফুন নাহার কান্তা।

মূল বক্তব্যে বলা হয়, শিশু ধর্ষণের ঘটনা ক্রমাগত বৃদ্ধির কারণ, আইনের আওতায় আসছে না অপরাধী। ফলে একের পর এক শিশু ধর্ষণের মতো পৈশাচিক ঘটনা ঘটছে। আইন থাকলেও তা উপেক্ষিত হচ্ছে। এ ছাড়া মামলা হলে যে চার্জশিট দেয়া হয় তাতে আইনের ফাঁক-ফোকর থাকে।

এতে আরও বলা হয়, আইনের ধীরগতির কারণেও দেখা যায় যে, বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়, অপরাধীরা জামিন নিয়ে বেরিয়ে পড়ে। আর আসামিরা প্রভাবশালী হলে তো কথাই নেই। বিচার প্রক্রিয়া আরও সংকটে উপনীত হয়। কখনও কখনও প্রভাবশালীদের চাপে নির্যাতিতরা সমঝোতায় যেতে বাধ্য হয়।
মূল বক্তব্যে ফারহানা সুলতানা বলেন, অনেক ক্ষেত্রে ধর্ষণের ঘটনা যখন ঘটে তখন শিশুর অভিভাবকরা সম্মান হারানোর ভয়ে এবং প্রভাবশালীদের চাপে পড়ে মামলা করেন না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দরিদ্র অভিভাবকের পক্ষে দীর্ঘদিন মামলা চালিয়ে নেয়াও সম্ভব হয় না। সামগ্রিক কারণে সমাজে শিশু ধর্ষণের ঘটনা বেড়েই চলেছে।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, দেশে ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে নিয়োজিত শিশুর সংখ্যা ১ দশমিক ২৮ মিলিয়ন। বিভিন্ন গবেষণা হতে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী বাংলাদেশে মোট গৃহকর্মীর সংখ্যা ২ মিলিয়ন। এর মধ্যে শিশুই চার লাখ বিশ হাজার, যার ৮৩ শতাংশই মেয়ে শিশু।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com