আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সৌদি আরবের সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকারীদের ক্ষমা করে এক বিবৃতি দিয়েছে তার ছেলে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
সৌদি সরকারের বিশিষ্ট সমালোচক খাশোগি ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর বিয়ের কাগজপত্র নিতে তুরস্কের ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করেন। পরে আর বের হতে দেখা যায়নি ২০১৭ সালে আমেরিকায় নির্বাসিত এই সাংবাদিককে। ইস্তানবুল পুলিশের মতে, কনস্যুলেটের ভেতরেই গুপ্তহত্যার শিকার হন খাশোগি। মৃত্যুর কারণ এখনো অজানা, তার দেহ এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
ওই হত্যাকাণ্ডের পেছনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে দায়ী করেছে। তবে তার নির্দেশে এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে তা বরাবর অস্বীকার করে গেছেন যুবরাজ। অবশ্য ওই বছরই ১১ সৌদিকে খাশোগি হত্যার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়। পরের বছর গোপন বিচারিক আদালতে ৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
পরিবার তার হত্যাকারীদের ক্ষমা করে দেওয়ায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ওপর প্রভাব পড়তে পারে। ইসলামী আইনের আওতায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রার্থনার আলোকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা যেতে পারে, তবে তা এই ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে কিনা পরিষ্কার নয়।
প্রায় দেড় বছর পর বাবার হত্যাকারীদের ক্ষমা করে দিলেন খাশোগির ছেলে সালাহ খাশোগি। শুক্রবার টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘পবিত্র মাসের (রমজান) এই বরকতময় রাতে আমরা আল্লাহর কথাটি স্মরণ করছি: যদি কোনো ব্যক্তি ক্ষমা করে দিয়ে আবার মিলে যায় তার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে পুরস্কার প্রাপ্য।’ জেদ্দায় বাস করা সালাহ সেই আদর্শ মেনে নিলেন, ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছ থেকে পুরস্কারের আশায় আমরা, শহীদ জামাল খাশোগির ছেলেরা আমাদের বাবার হত্যাকারীদের ক্ষমা ঘোষণা করছি।‘
সালাহ তার আগের বক্তব্যে সৌদি তদন্তে আস্থা ও সমর্থনের কথা জানান। দেশের নেতৃত্বকে দুর্বল করার জন্য তার বাবাকে মেরে ফেলা হয়েছে অভিযোগ করে সৌদি আরবের ‘বিরোধী ও শত্রুদের’ সমালোচনা করেছিলেন তিনি।
গত বছর ওয়াশিংটন পোস্ট তাদের প্রতিবেদনে জানায়, বাবার হত্যার ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রতে্যক মাসে বেতন ও বাসা ভাড়া দেওয়া হচ্ছিল খাশোগির সন্তানদের। কিন্তু একমাত্র সন্তান হিসেবে কেবল সৌদি আরবে বাস করছেন বড় ছেলে সালাহ।