সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৩ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

কঙ্গোতে বিদ্রোহীদের গুলিতে ২০ গ্রামবাসী নিহত

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট, ২০২০
  • ২০২ বার পঠিত

অনলাইন ডেস্ক: গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোতে (ডিআরসি) উগান্ডার বিদ্রোহীদের গুলিতে কমপক্ষে ২০ জন গ্রামবাসী নিহত হয়েছেন। কঙ্গোর সেনাবাহিনী ও স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) বুধবার (২৬ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। খবর আনাদোলু এজেন্সির।

জানা যায় গত মঙ্গলবার বিদ্রোহীরা বেনি অঞ্চলের তিনজন গ্রামবাসীকে টার্গেট করে। তাদের হত্যার পর বিভিন্ন স্থানে আরো ১৭ জনকে গুলি করে হত্যা করে।

কঙ্গোতে কাজ করা শান্তি, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার সংস্থা কেন্দ্র এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মাপাসানা ও সায়ুনি গ্রামে নয় জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। আর ১১ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে মায়িকিতি গ্রামে।

গেল ২০ বছর ধরে নানা দ্বন্দ্ব-সংঘাতে জর্জরিত কঙ্গো। স্থানীয়দের সঙ্গে বিদ্রোহীদের জমি, প্রাকৃতিক সম্পদ, খনিজ সম্পদ নিয়ে ও পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে নানা বিষয়ে নিয়ে দ্বন্দ্ব লেগেই আছে কঙ্গোতে। ১৯৯০ সালে উগান্ডায় গঠিত হওয়া বিদ্রোহী বাহিনী গেল তিন দশক ধরে কঙ্গোতে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে আসছে।

বিদ্রোহীদের কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। প্রাকৃতিক ও খনিজ সম্পদ লুট করে নেওয়াই তাদের মূল উদ্দেশ্য। এ কাজে তাদের কেউ বাধা দিলে কিংবা কাউকে হুমকি মনে হলেই তাকে হত্যা করে। বিশেষ করে বিভিন্ন স্থান থেকে স্বর্ণ উত্তোলণের জন্য তারা গ্রামবাসী ও স্থানীয়দের হামলা করে হত্যা করে এবং সেখানে তাদের স্বর্ণ উত্তোলনের কাজ চালায়।

যেহেতু গ্রাম অঞ্চলে কোনো সেনাবাহিনীর টহল নেই সেহেতু নিরীহ গ্রামবাসীকে হত্যা করতে বিদ্রোহীদের খুব একটা বেগ পেতে হয় না।

গেল জুনে জাতিসংঘের ইন্দোনেশিয়ার শান্তিরক্ষী কর্মকর্তাকে বেনি অঞ্চলে কাপুরুষোচিতভাবে হামলা করে হত্যা করে বিদ্রোহীরা। উগান্ডা সীমান্তের কাছে বিদ্রোহীদের হামলায় ২০১৭ সালে ১৭ জন শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্য নিহত হয়েছিলেন। ১৪ জন নিহত হয়েছিলেন তানজানিয়ায়। আর ৭ জন নিহত হয়েছিলেন ওৎ পেতে থাকা আক্রমণের শিকার হয়ে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com