খন্দকার ইয়াসিন:
রাজধানী ঢাকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা উত্তরা। এই উত্তরাতে কৃষক লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি করে আসছেন একটি সংগ বদ্ধ চক্র, এই চক্রের মূলহোতাদের মধ্যে অন্যতম একজনের নাম জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে সান।
বর্তমানে তার কোন পোস্ট বা পদবি না থাকলেও তিনি নিজেকে কৃষক লীগের নেতা বলে দাবি করেন। তার চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্যে অতিস্টো এলাকাবাসি। গরিব-দুঃখী খেটে খাওয়া আম-জনতার উপর রোজই প্রকাশ্যে চলে তার চাদাবাজি। কেউ চাদা দিতে অপারগ হলে তার উপর চালানো হয় পাশবিক নিরজাতন। জাহাঙ্গীর হোসেনের এই নেটওয়ার্ক বলোবত রাখতে রয়েছে তার একাধিক কিশোর গেং।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকে জানায় বাংলাদেশ কৃষক লীগের রাজধানী ঢাকা উত্তরার এক নং ওয়ার্ড কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গির হোসেন সান এর চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্ম স্বাভাবিক ঘটনায় রূপ নিয়েছে । বিনাপুঁজিতে লাভজনক এক ব্যবসা বলেই ক্ষমতাসীন দল ও তার সহযোগী অঙ্গসংগঠনের একশ্রেণির নেতাকর্মী এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এ ক্ষেত্রে তারা সাধারণ মানুষের জীবনকে হুমকিতে ফেলতেয়ো পিছপা হয় না। এর বাইরে রয়েছে-প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে পুলিশের একশ্রেণির অসাধু সদস্য ও কর্মকর্তারা মদদ।
সম্প্রতি পবিত্র ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর উত্তরাতে একাধিক ফুটপাথ, দোকানপাট ও মার্কেটে জাহাঙ্গীর হোসেন চাঁদাবাজি এখন ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। এছাড়া বিভিন্ন অস্থায়ী-স্থায়ী কাঁচাবাজার, ছোট-বড় দোকান, এমনকি ফেরিওয়ালাদের কাছ থেকেও চাঁদা আদায় করছেন জাহাঙ্গীর হোসেন।
এ বেপারে বিভিন্ন ফুটপাথের ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলতে গেলে তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চান না তারা। তবে দুই এক জন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন তারা ফুটপাথের ব্যবসায়ীরা জাহাঙ্গীর হোসেন ও তার বাহিনীর হাতে জিম্মি হয়ে আছেন। জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে সান এর কাছে ফুটপাথের ব্যবসায়ী থেকে উচ্চ পর্যায়ের ব্যবসায়ী সবাইকে গুনতে হচ্ছে, মোটা অঙ্কের চাঁদা।
পুলিশ সংস্থার সূত্রে জানা বিভিন্ন থানায় এই জাহাঙ্গীর হোসেন সানের নামে রয়েছে নারী নির্যাতন সহ আরো একাধিক মামলা।
জাহাঙ্গির হোসেন সান এর সাথে কথা বলতে তার মুঠো ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ জাতীয় আরো খবর..