শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে শিশুকে অপহরণ ও ধর্ষণের দায়ে বাবু মিয়া নামে এক যুবকের ৪৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে। একই সঙ্গে অপহরণে সহায়তার দায়ে বাবুর বাবা মোফাজ্জল হক ও তার আত্মীয় মোছা. লুৎফা বেগমকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার বিকেলে এই রায় ঘোষণা করেন শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কামরুন নাহার রুমী। দণ্ডিত বাবু নালিতাবাড়ী উপজেলার বনপাড়া গ্রামের মোফাজ্জল হকের ছেলে।
ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি গোলাম কিবরিয়া বুলু জানান, মোফাজ্জল হক তার ছেলের জন্য ওই শিশুকে (১২) বিয়ের প্রস্তাব দেন। প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন মেয়েটির মা-বাবা। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ২০১৯ সালের ৫ মে মা-বাবা বাড়িতে না থাকার সুযোগে চানাচুরের সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে খাইয়ে শিশুটিকে অচেতন করে অপহরণ করেন বাবু। তাকে সহযোগিতা করেন মোফাজ্জল হক ও লুৎফা। শিশুটিকে ঢাকায় নিয়ে এক বাসায় আটকে রাখা হয়। এরপর সেখানে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন বাবু।
এদিকে শিশুর বাবা বাড়ি ফিরে মেয়েকে না পেয়ে নালিতাবাড়ী থানায় মামলা করেন। মামলার পর একই বছরের ২৯ মে অপহৃতা শিশুকে উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্ত শেষে ওই তিনজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জুহুরুল হক। এরপর বিচারিক প্রক্রিয়ায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বুধবার বিকেলে তিনজনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন আদালত।