বাংলাদেশের নতুন স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ। দায়িত্ব নিয়েই এই ঘরানার বোলিংয়ে ব্যবধান গড়ে দেয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন তিনি। শুধু জাতীয় দল নয়, লেগ স্পিনার তুলে আনতেও ভূমিকা রাখতে চান বিশ্বকাপজয়ী এই সাবেক পাকিস্তানি লেগ স্পিনার।
বিশ্বকাপজয়ী পাকিস্তানি লেগ স্পিনারের হাতে বাংলাদেশের অনুশীলন কিট তুলে দিয়েছেন ক্রিকেট অপারেশন্স ম্যানেজার শাহরিয়ার নাফীস। ড্রেসিংরুমে প্রথমদিনই তিনি পেয়ে যান তাইজুল ইসলামকে। এ সময় নাজমুল শান্ত, মুমিনুল হকদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তিনি।
মঙ্গলবার মাঠে নেমে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন মুশতাক। ফিরে যান দু’যুগ আগের খেলোয়াড়ি জীবনে। বাংলাদেশ সফরে সবশেষ এসেছিলেন ১৯৯৮ সালে। নতুন ভূমিকায় রোমাঞ্চিত। টাইগার স্পিন কোচ মুশতাক আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ ক্রিকেটের অংশ হতে পারা আমার জন্য বিরাট সম্মানের।
তিনি আরো বলেন, যতটুকু মনে করতে পারি ৯২’র বিশ্বকাপ জয়ের পর ৯৩ বা ৯৪ সালে খেলতে এসেছিলাম। বাংলাদেশ ভ্রমণ সবসময় উপভোগ করি। লোকজন অতিথিপরায়ণ, পাকিস্তান ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের অনেক সমর্থক আছে এখানে।
কাজে যোগ দিয়েই স্পিনারদের উন্নতি আর ব্যবধান তৈরি করার চ্যালেঞ্জ নিলেন মুশতাক আহমেদ। তিনি বলেন, নিজের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে যে কোচ হিসেবে আমি এখানে এসেছি ব্যবধান গড়ে দিতে। এতদিনের অভিজ্ঞতা ও ক্রিকেট জ্ঞান শেয়ার করতে চাই ক্রিকেটারদের সঙ্গে।
সাবেক পাকিস্তানি স্পিন গ্রেট আরও বলেন, কেন নয়, এশিয়ায় লেগ স্পিনার, রহস্য স্পিনার, চায়নাম্যান সব বৈচিত্র্য পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে লোকাল কোচদের ভূমিকা বেশি। আমি চেষ্টা করব রহস্য স্পিনার তুলে আনার কাজ করতে। সাদা বলে এখন রিস্ট স্পিনাররা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, কাজে প্রমাণ করার চ্যালেঞ্জ। নামটা মুশতাক আহমেদ বলে প্রত্যাশার চাপও থাকবে বেশি।