শরীয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুর নড়িয়া উপজেলায় মদ খেয়ে দুই জনের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে তাদের মৃত্যু হয়।
তারা হলেন রিপন হাওলাদার (৩৮) ও মঞ্জু মল্লিক (৫৫)। রিপন হাওলাদার (৩৮) নড়িয়া উপজেলার ঘড়িসার ইউনিয়নের নন্দনসার গ্রামের মৃত ইউনুস হাওলাদারের ছেলে। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে । তিনি চট্টগ্রামে সিএনজি ব্যবসা করতেন। আর মঞ্জু মল্লিক (৫৫) থিরপাড়া গ্রামের নুর মোহাম্মদ মল্লিকের ছেলে। তিনি ইতালী প্রবাসী ছিলেন। তার তিন ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নড়িয়া উপজেলার ঘড়িসার ইউনিয়নের গোয়ালবাথান গ্রামের মৃত হামিদ আলী হাওলাদারের ছেলে কুদ্দুস হাওলাদারের (৫৫) অটোরিকশার গ্যারেজের ভেতর রিপন হাওলাদার, মঞ্জু মল্লিক, কুদ্দুস হাওলাদার, রিপন তালুকদার, জামাল হাওলাদারসহ ৬/৭ জন মিলে দেশীয় মদ পান করেন। সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাত ৩টার দিকে মঞ্জু ও রিপনের হঠাৎ করে পেটে জ্বালা ও বুকে ব্যথা উঠে । পরিবারের লোকজন তাদের নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠান। মঙ্গলবার দুপুরে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিপন হাওলাদারের মৃত্যু হয়। আর মঞ্জু মল্লিককে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার সময় বিকালে মাঝিরঘাট এলাকায় তার মৃত্যু হয়।
নন্দনসার গ্রামের খলিল ব্যাপারীর স্ত্রী আসমা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ে স্মৃতি আক্তারের বিয়ের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান চলছিল। সেই অনুষ্ঠানে রিপন হাওলাদার মদ খেয়ে মাতাল অবস্থায় অনুষ্ঠানে আসা মেয়েদের উত্যক্ত করছিল। পরে কুদ্দুস হাওলাদার তাকে অনুষ্ঠানস্থল থেকে নিয়ে যায়।’
রিপন হাওলাদারের শ্যালক মো. লিটন বলেন, ‘গত সোমবার রাতে আমার বোনজামাই রিপনের পেটে জ্বালা ও বুকে প্রচুর ব্যথা হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে মঙ্গলবার তার মৃত্যু হয়।’
অটোরিকশা গ্যারেজের মালিক কুদ্দুস হাওলাদারের বাড়িতে গেলে এবং তার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি পলাতক রয়েছেন।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মুনীর আহমদ খান বলেন, ‘তারা মদ খেয়েছে এটার আলামত পাওয়া গেছে। একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আর একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করা হয়েছিল।’
নড়িয়া থানা পুলিশের অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘একজন মদ পানে মারা গেছে এমন তথ্য পেয়েছি। আরেকজনের মৃত্যু কীভাবে হয়েছে তা পরিষ্কার নয়। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ বোঝা যাবে।’