আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দুই দিনের সফরে সৌদি আরবে থাকাকালীন মক্কায় অবস্থিত পবিত্র কাবা শরিফে ওমরাহ হজ পালন করেন। তার সঙ্গে দেশটির সরকারের একটি প্রতিনিধি দলও ছিল। ওমরাহ শেষে তিনি অবরুদ্ধ কাশ্মীরের নির্যাতিত মানুষের মুক্তির জন্য দোয়া করেছেন।
সৌদি আরব ও পাকিস্তানের বেশকিছু গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বৃহস্পতিবার ইমরানের ওমরাহ পালন নিয়ে এমন খবর জানানো হয়েছে। পাক প্রধানমন্ত্রী সৌদিতে দুদিনের রাষ্টীয় সফর শেষে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে গত শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা দেন।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, পবিত্র কাবা শরিফের দরজা প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার সঙ্গে থাকা প্রতিনিধি দলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। ইমরান তার সঙ্গীদের নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন। সেখানে তিনি কাশ্মীর ও গোটা বিশ্বের মুসলিম সমাজের জন্য দোয়া করেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বৃহস্পতিবার ওমরাহ পালন ছাড়াও শুক্রবার মক্কার পবিত্র মসজিদ ‘আল মসজিদ আল হারামে জুমার নামাজ আদায় করেন। শুক্রবার বিকেলে মক্কা থেকে মদিনায় যান। সেখানে রোজা ই রাসূলে সম্মান জানান তিনি।
শনিবার সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ব্যক্তিগত বিমানে করে ইমরান খান যুক্তরাষ্ট্রে যান। রাষ্ট্রীয় সফরে সরকারপ্রধানরা সাধারণত স্বতন্ত্র পরিবহনব্যবস্থা ব্যবহার করেন। তবে তিনি সৌদি যুবরাজের নিজস্ব বিমানে করে ট্রাম্পের দেশে গেছেন।
সৌদি থেকে বাণিজ্যিক ফ্লাইট ধরে যুক্তরাষ্ট্রে যেতে চেয়েছিলেন ইমরান খান। কিন্তু তাতে আপত্তি তোলেন যুবরাজ বিন সালমান। যুবরাজ বলেন, ‘আপনি আমাদের বিশেষ অতিথি এবং আপনি অবশ্যই আমার বিশেষ বিমানে করে যুক্তরাষ্ট্র যাবেন।’
মোদি সরকার কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর থেকে নানাভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন ইমরান খান। তিনি নিজেকে কাশ্মীরি জনগণের দূত (অ্যাম্বাসেডর) বলে ঘোষণা দিয়েছেন। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে জোড়ালোভাবে কাশ্মীর ইস্যু তুলবেন বলেও জানিয়েছেন।
গত ৫ আগস্ট কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা প্রদানকারী ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে মোদি সরকার। রাজ্যটিকে দুভাগ করে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে রূপান্তর করে। ওই অনুচ্ছেদের কারণে এতদিন ধরে স্বায়ত্তশাসন পেয়ে আসছিল কাশ্মীর। অনুচ্ছেদটি বাতিল করার পর কাশ্মীর অবরুদ্ধ করে রেখেছে সরকার।