বিনোদন ডেস্ক: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জি বাংলা টেলিভিশনে প্রচারিত জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো মীরাক্কেল। বাংলাদেশ থেকে এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে শীর্ষ তালিকায় ছিলেন বেশ কয়েকজন প্রতিযোগী। স্বাভাবিক কারণে বাংলাদেশে এই শোয়ের জনপ্রিয়তা কম নয়।
২০১৫ সালের ১০ ডিসেম্বর মীরাক্কেলের নবম সিজন শুরু হয়। এটি ছিল এই রিয়েলিটি শোয়ের সর্বশেষ সিজন। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর শুরু হচ্ছে মীরাক্কেলের নতুন মৌসুম। আগামী ১১ অক্টোবর রাত ৮টায় এই সিজনের প্রথম পর্ব প্রচার হবে। গত ১ অক্টোবর থেকে নতুন সিজনের শুটিং শুরু হয়েছে। বরাবরের মতো এবারো অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করছেন মীর আফসার আলী।
এই প্রতিযোগিতার শুরু থেকে সর্বশেষ পর্যন্ত বিচারকের দায়িত্ব পালন করেছেন—পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, রজতাভ দত্ত ও শ্রীলেখা মিত্র। প্রতিযোগী, বিচারক ও উপস্থাপকের সম্মিলিত পরিশ্রমে এটি দ্রুত দর্শক হৃদয়ে জায়গা করে নেয়। কিন্তু দীর্ঘ দিনের পথচলায় এবার ছন্দপতন ঘটেছে। কারণ বিচারকের আসনে এই তিনজনের কেউ-ই এবার থাকছে না। গত আগস্টের শেষের দিকে তাদের বাদ পড়ার খবর প্রকাশ্যে আসে। এ নিয়ে দারুণ সমালোচনার মুখে পড়ে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। শুধু তাই নয়, ক্ষোভ উগড়ে ছিলেন শ্রীলেখা নিজেও। তবে কেন বাদ পড়েছেন তা নিয়ে এখনো মুখ খুলেননি শ্রীলেখা।
ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এবার বিচারকের আসনে দেখা যাবে টলিউডের দুই চিত্রনায়িকা পাওলি দাম ও সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এছাড়াও মীরের টিমে থাকছেন কমেডিয়ান বিশ্বনাথ বসু ও কাঞ্চন মল্লিক। এরই মধ্যে তারা সবাই শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন।
মীরাক্কেলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শুটিং সেটে তোলা কিছু ছবি পোস্ট করা হয়েছে। তাতে একসঙ্গে দেখা যায়—পাওলি দাম, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, মীর আফসার আলী, বিশ্বনাথ বসু ও কাঞ্চন মল্লিককে। এ পোস্টে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন নেটিজেনরা। তবে অধিকাংশ নেটিজেন নতুন বিচারকদের দেখে নেতিবাচক মন্তব্য করছেন।
তমাল রায় নামে একজন লিখেছেন—‘কর্তা ব্যাপারটা ঠিক জমলো না, সেই তিনজন বিচারক ছাড়া মীরাক্কেল অসম্পূর্ণ।’ টুটুল মুখার্জি নামে একজন লিখেছেন—‘পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, রজতাভ দত্ত ও শ্রীলেখা মিত্র নেই। অতএব এবার মীরাক্কেল দেখব না।’
বাংলাদেশ থেকে আরিফুল ইসলাম নামে একজন মন্তব্য করেছেন—মীর ভাই, বাংলাদেশ থেকে বলছি। হতে পারে এই অনুষ্ঠান আপনার নামে। আপনি ছাড়া অনুষ্ঠানটি অচল। আপনি না থাকলে এই অনুষ্ঠানের কোনো মানে হয় না। কিন্তু আমরা যারা এত বছর ধরে এই অনুষ্ঠান দেখছি, যে অনুষ্ঠানের সঙ্গে আমাদের আবেগ মিশে আছে। সেই অনুষ্ঠান এভাবে নষ্ট করারও কোনো মানে হয় না। আপনাদের বিচারক প্যানেল দেখে হাসব না কাঁদবো বুঝতে পারছি না। এরা কি বিচারক? কীভাবে সম্ভব? টিআরটি শূন্য। বিচারক বদল করুন অথবা আরো কয়েক বছর এই অনুষ্ঠান বন্ধই রেখে দিন।
এমন দর্শক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে শেষ করা যাবে না। নতুন আঙ্গিকে নতুন আবহে এই প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান শুরু হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু বিতর্ক ও এতটা চ্যালেঞ্জ নিয়ে কতটা সফল হতে পারবে তা এখন সময়ে ব্যাপার মাত্র!