প্রতিবেশী দেশ আর্জেন্টিনায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছিল ব্রাজিল। টুর্নামেন্টের পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন দলটি প্রথম লড়াইয়েই হারে ইতালির কাছে। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে শক্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে নেইমার-ভিনিসিউসদের উত্তরসূরিরা। ডমিনিকা রিপাবলিককে বড় ব্যবধানে উড়িয়ে টুর্নামেন্টের আশা টিকিয়ে রাখল জুনিয়র সেলেসাও দল।
বুধবার (২৪ মে) রাতে মালভিনাস আর্জেন্টিনাস স্টেডিয়ামে ডমিনিকা রিপাবলিককে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ব্রাজিল। এ জয়ে ইতালিকে টপকে গ্রুপের দ্বিতীয় অবস্থানে ওঠে এল দলটি। শেষ ম্যাচে নাইজেরিয়াকে হারাতে পারলেই নিশ্চিতভাবে শেষ ষোলোর টিকিট মিলবে তাদের।
নাইজেরিয়ার কাছে হারলে অথবা ড্র করলেও যে বাদ পড়ে যাবে ব্রাজিল, এমনটা নয়। সেক্ষেত্রে তাদের তাকিয়ে থাকতে হবে গ্রুপ এবং গ্রুপের বাইরের অন্য দলগুলোর দিকে। গ্রুপ পর্বে তৃতীয় হয়েও নকআউটে উঠতে পারে সেলেসাওরা।
আরেকটু সহজ করে বলা যাক। টুর্নামেন্টে ২৪টি দল থেকে ১৬টি দল উঠবে নকআউটে। সেক্ষেত্রে ৬টি গ্রুপ থেকে ১২টি দল নিশ্চিতভাবে নকআউটে উঠে যাবে। এছাড়া গ্রুপের তৃতীয় স্থানে থাকা সেরা ৪টি দল যাবে নকআউট পর্বে। তাই তৃতীয় হয়েও নকআউটে যাওয়ার সুযোগ থাকবে ব্রাজিলের।
শক্তির বিচারে বেশ পিছিয়ে থাকা ডমিনিকার বিপক্ষে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে ব্রাজিল। তবে প্রথমবার জালের দেখা পেতে সময় লেগেছে বেশ। ৩৭তম মিনিটে ডেডলক ভাঙেন সাভিও। পরের মিনিটেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মার্কোস লিওনার্দো। ২-০ গোলের লিড নিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করে ব্রাজিল।
দ্বিতীয়ার্ধে খেলার গতি আরও বাড়ায় ব্রাজিল। তাতে ফলাফল এসেছে দ্রুতই। ৫৭তম মিনিটে জিন হেনরিক পেদ্রোসো সেলেসাওদের হয়ে স্কোরশিটে নাম লেখান। ব্যবধানটা ৪-০ হয় ৮২ মিনিটে জিওভানের গোলে।
৮৫ মিনিটে এডিসন আজকোনা লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে দশ জনের দলে পরিণত হয় ডমিনিকা। সুযোগটা ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছে ব্রাজিল। অতিরিক্ত সময়ের প্রথম মিনিটে মার্লোন গোমেজ এবং অতিরিক্ত সময়ের তৃতীয় মিনিটে ম্যাথিউস মার্তিনস দলের হয়ে পঞ্চম ও ষষ্ঠ গোল করে। শেষ পর্যন্ত ৬-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়নরা।