শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১৭ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান
সংবাদ শিরোনাম ::

ডায়াবেটিস রুখতে প্রোটিন ইঞ্জেকশন আনলেন গবেষকরা

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৯
  • ২৭১ বার পঠিত

অনলাইন ডেস্ক: রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে এমন প্রোটিনকে কীভাবে কাজে লাগানো যায়; এবার সেই উপায় নিয়ে গবেষণায় সাফল্য পেয়েছেন গবেষক-চিকিৎসকরা। ভারতের হায়দরাবাদের সিএসআইআর-সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মলিকিউলারের গবেষকরা সেই প্রোটিনকে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করিয়ে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করার উপায় বের করার দাবি করেছেন।

এর আগে একুশ শতকের প্রথম দিকেই শরীরে সেক্রেটাগন (এসসিজিএন) নামের এক প্রোটিনের উপস্থিতি লক্ষ্য করেছিলেন গবেষকরা। ২০১৭ সালে এই প্রোটিনের কার্যকারিতা ও শরীরে এর প্রভাব নিয়ে নানা গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়।

সিএসআইআর-সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মলিকিউলারেরই গবেষক ও চিকিৎসক যোগেন্দ্র শর্মা এই নিয়ে বিস্তর গবেষণাও চালান। এবার তার সঙ্গেই এই প্রয়োগ কৌশল বের করার গবেষণায় যোগ দিয়েছিলেন প্রতিষ্ঠানের আরও কয়েকজন গবেষক।

তাদের দাবি, এই প্রোটিন প্যানক্রিয়াসের বিটা সেল থেকে ক্ষরিত হয়। তা ক্ষরিত হলে ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের মূল সমস্যা ইনসুলিন কমে যাওয়াকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ডায়াবেটিস আক্রান্তদের শরীরে এই প্রোটিন ক্ষরণ অনেকাংশেই কমে যায়। ফলে ইনসুলিনের মাত্রাও কমতে থাকে। বিশেষ করে ওজন বৃদ্ধির কারণে হওয়া ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে এই কথা আরও বেশি করে খাটে।

এ অবস্থায় গবেষণায় যুক্ত যোগেন্দ্র শর্মা, রাধিকা খান্ডেলওয়াল ও অমরুথা চিদানন্দরা সেই প্রোটিনকেই ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে রোগীদের শরীরে প্রবেশ করিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের কথা ভাবছেন।

গবেষক দলের প্রধান যোগেন্দ্র শর্মা বলেন, ‘ভারতে প্রায় ৬ কোটিরও বেশি মানুষ ডায়াবেটিসে ভুগছেন। এমন অবস্থায় এ প্রোটিনের প্রয়োগ হলে অনেক রোগীই এর দ্বারা উপকৃত হবেন। যে মেটাবলিক ডিসঅর্ডারের জন্য ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন, সেই পথেও এই প্রোটিন অনেকটা বাধা দেবে। প্যানক্রিয়াসের বিটা সেল থেকে বেরোনো প্রোটিন কমে যাওয়ায় ইনসুলিনের মাত্রাও কমে, তা ঢাকতেই বাইরে থেকে এই প্রোটিন প্রবেশ করানো যেতে পারে শরীরে।’
কতটা কার্যকরী এই পদ্ধতি?

এসএসকেএমের অধ্যাপক ও এন্ডোক্রিনোলজিস্ট সতীনাথ মুখোপাধ্যায়ের মতে, ‘সেক্রেটাগন (এসসিজিএন) প্রোটিন প্যানক্রিয়াস থেকে নির্গত হলে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে, এতে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু এই প্রোটিন মস্তিষ্ক থেকেও নির্গত হয়। সমস্যা হয় তখনই। এটি মস্তিষ্ক থেকে বের হলে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের পরিমাণ বাড়ে। এতে আবার উল্টো ফল হয়। এর প্রভাবে শরীরে ইনসুলিনের মাত্রাও কমে। ফলে ইঞ্জেকশন দিলেই কাজ শেষ হয় না।’

তা হলে সমাধান?

এ ব্যাপারে গবেষক সতীনাথ বলেন, ইঞ্জেকশন দেয়ার আগে যাচাই করে নিতে হবে এর অণু কী আকারের। ব্রেন-বডি বেরিয়ারকে টপকে ইঞ্জেকশন মস্তিষ্কে প্রবেশ করলে কাজের কাজ হবে না। তাই তাকে শরীরে, বিশেষ করে প্যানক্রিয়াসের বিটা সেলে আটকে রাখতে হবে। তেমনটা করতে চাইলে এর অণু বড় হতে হবে, যাতে তা ব্রেন-বডি বেরিয়ারকে টপকাতে না পেরে মস্তিষ্ক থেকে দূরে থাকে। তবে এমন ইঞ্জেকশন বাজারে ছাড়ার আগে অণুর পরিমাপ নিয়েও চিন্তাভাবনা করবেন বিজ্ঞানীরা বলে আশাবাদী বিশেষজ্ঞরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com