ক্রীড়া ডেস্ক: ফর্মের তুঙ্গে রয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ব্যাটিংয়ে প্রমোশন নিয়ে চলতি বিপিএলে প্রত্যাশার চেয়েও ভালো খেলছেন জাতীয় দলে এ অলরাউন্ডার।
বিপিএল চলতি সপ্তম আসরে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ খেলায় ঢাকা প্লাটুনের বিপক্ষে ২০৬ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেছেন মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্ত।
উদ্বোধনী জুটিতে ৬.৫ ওভারে ৭০ রানের জুটি গড়েন তারা। ২৫ বলে ২৫ বলে ৭টি চার ও এক ছক্কায় ৪৫ রান করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। একদিন আগে ৪৫ বলে ৭৪ রান করেন খুলনার এ অলরাউন্ডার।
আজ শনিবার প্রথমে ব্যাট করে মুমিনুল হক সৌরভ ও মেহেদী হাসানের রেকর্ড জুটিতে ৪ উইকেটে ২০৫ রানের বিশাল সংগ্রহ করেছে ঢাকা প্লাটুন। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৯ বলে ৯১ রান করেন মুমিনুল। তার ইনিংসটি ৭টি চার ও ৪টি ছক্কায় সাজানো।
বিপিএল সপ্তম আসরে এটা মুমিনুলের দ্বিতীয় ফিফটি। সবশেষ পাঁচ ম্যাচে ২৪.৬ গড়ে ১২৩ রান করা মুমিনুল এ দিন রীতিমতো ব্যাটিং তাণ্ডব চালান। টেস্ট স্পেশালিস্ট খ্যাত এ ক্রিকেটার যে টি-টোয়েন্টির সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে অসাধারণ ব্যাটিংয়ের সক্ষমতা রাখেন তার একটি জ্বলন্ত উদাহরণ পেশ করলেন শনিবার।
শুধু মুমিনুলই নন! প্রত্যাশার চেয়েও ভালো খেলেছেন মেহেদী হাসান। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় দলের হয়ে একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে বাদ পড়ে যাওয়া মেহেদী শনিবার ব্যাটিং শৈলী প্রদর্শন করেছেন। মাত্র ৩৬ বল খেলে তিনটি চার ও ৫টি ছক্কায় ১৮৮.৮৮ স্ট্রাইক রেটে ৬৮ রান করেন মেহেদী হাসান। চলতি বিপিএলে এটা তার তৃতীয় ফিফটি। এর আগে ৫৬ ও ৫৯ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি।
মুমিনুল আর মেহেদীর ব্যাটিং ঝড়ে দিশেহারা হয়ে যান খুলনা টাইগার্সের তারকা বোলার মোহাম্মদ আমির, রবি ফ্রাঙ্কলিঙ্ক, শফিউল, শহিদুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজরা।
আজ শনিবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৫ রানে তামিম ইকবাল, এনামুল হক বিজয় ও জাকির আলীর উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে যায় ঢাকা।
গর্তে পড়ে যাওয়া দলকে খেলায় ফেরাতে বাড়তি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেন মুমিনুল হক ও মেহেদী হাসান। চতুর্থ উইকেটে বিপিএল রেকর্ড ১৫৩ রানের জুটিতে বিপর্যয় এড়িয়ে ২০৫ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েছে ঢাকা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ঢাকা প্লাটুন: ২০ ওভারে ২০৫/৪ (মুমিনুল হক ৯১, মেহেদী হাসান ৬৮*)।