জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: করোনাকালে চাকরিচ্যুত সাংবাদিক-কর্মচারীদের সব পাওনা পরিশোধে দৈনিক মানবকণ্ঠ কর্তৃপক্ষকে ১০ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।
বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে এ আল্টিমেটাম দেন ডিইউজের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ। উল্লিখিত সময়ের মধ্যে পাওনা পরিশোধ না করলে পত্রিকা কর্তৃপক্ষের জন্য ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।
মানবকণ্ঠ সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন—বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মোল্লা জালাল, মহাসচিব শাবান মাহমুদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ওমর ফারুক, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, মানবকণ্ঠের সিনিয়র সাংবাদিক মহিউদ্দিন পলাশ, সাবিরা ইসলাম প্রমুখ।
মানবকণ্ঠের মালিকের উদ্দেশে কুদ্দুস আফ্রাদ বলেন, ‘আপনাকে কুপরামর্শ দিয়ে আপনার পত্রিকার ক্ষতি করছে যারা, তাদেরকে আমরা চিনেছি। নতুন চাকরি নিয়ে তারা প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কাজ করা সাংবাদিকদের ছাঁটাই করেছে। সেই দালালদের এবার আপনি চিহ্নিত করুন।
ডিইউজের সভাপতি বলেন, ‘আপনার আরো অনেক ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান আছে, আপনার সুনাম যেমন আছে, দুর্নামও আছে। আমরা সেসব বলতে চাই না। একটি পত্রিকার প্রকাশক হিসেবে আপনাকে আমরা সম্মান করতে চাই। এখন আপনি আপনার সম্মান বজায় রাখবেন কি না তা আগামী ১০ দিনের মধ্যে স্পষ্ট করবেন।
মোল্লা জালাল বলেন, ‘পরিকল্পনা করে সাংবাদিকদের মাঠে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়। এটি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র কি না, খতিয়ে দেখতে হবে। অতীতে যারা দালালি করেছে, তাদের করুণ পরিণতি আমরা দেখেছি। মানবকণ্ঠেও যারা দালালি করছেন, আপনাদের পরিণতিও দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
শাবান মাহমুদ বলেন, ‘আগামী ১০ দিনের মধ্যে দাবি আদায় না হলে আপনাদের ভূমিদস্যুতার বিরুদ্ধে আমরা অবস্থান নেব। আপনাদের মিডিয়া বাতিলের জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়ে যাবো, আপনাদের মুখোশ উন্মোচন করেই ছাড়বো।
সাজ্জাদ আলম খান তপু বলেন, ‘মালিকপক্ষের ন্যাক্কারজনক প্রবণতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের বিকল্প নেই। আগামীতে আইনগতভাবে মানবকণ্ঠ চলবে না নাকি বন্ধ হয়ে যাবে, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসেছে।’
মানবন্ধনে অংশ নেন—বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব আব্দুল জলিল ভূঁইয়া, বিএফইউজের কোষাধ্যক্ষ দ্বীপ আজাদ, নির্বাহী সদস্য শাহনেওয়াজ দুলাল, নির্বাহী সদস্য শেখ মামুনুর রশীদ, ডিইউজের সহ-সভাপতি এম এ কুদ্দুস, সাংগঠনিক সম্পাদক জিহাদুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস চৌধুরী, নির্বাহী সদস্য রাজু হামিদ, সলিমুল্লাহ সলিম, ইব্রাহীম খলিল খোকন, ডিআরইউর সাবেক প্রশিক্ষণ সম্পাদক আবদুল হাই তুহিন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান খান, বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতির সভাপতি সনৎ বাবলা, সহ-সভাপতি শাহাবুদ্দীন শাহাব, ডিইউজের নির্বাহী সদস্য জুবায়ের চৌধুরী, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজল হাজরা, বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুমান আরা শিল্পী প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন ডিউজের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আলম।