নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর উত্তরার উত্তরখান হযরত শাহ কবির (রহ:) মাজারে হামলা করে বিবি সাহেবার মাজার ভাংচুর করে গুড়িয়ে দিয়েছেন সাবেক চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিনের নের্তৃত্বে জামাত নেতা লেহাজ উদ্দিনসহ একদল সন্ত্রাসী বাহিনি। খবর পেয়ে সাংবাদিক ছবি তুলতে গেলে তাকে মারধর করে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভুগী সাংবাদিক রুবেল মাহমুদ উত্তরখান থানায় একটি অভিযোগ করেন।
সূত্রে জানা যায়, হযরত শাহ কবির (রহ:) মাজারে হামলা করে বিবি সাহেবার মাজার ভাংচুর করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানান এনামুল হাসান খান সহিদ (সি.আই.পি) ও মাহিসহ আরো অনেকে।
সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ ই নভেম্বর যোহর নামাজ শেষে উত্তরখান হযরত শাহ কবির (রহ:) কেন্দ্রীয় মসজিদের ভিতরে উচ্চস্বরে স্লোগান দিয়ে মসজিদের ভিতরে অবস্থিত ২ শত বছরের পুরাতন বিবি সাহেবার মাজারটি মসজিদের ঈমাম ও খতিব জামাত নেতা লেহাজ উদ্দিন, গফুর মুন্সি, ফরিদ মাস্টার, বশিরউদ্দিন, জামান, নাজিমউদ্দিন, আবুল কালাম, নজরুল, সাইফুলসহ লেহাজ উদ্দিন ও গফুরমুন্সির পরিচালিত জামাত- শিবিরের আস্তানা থেকে আনা ৯০ থেকে ১০০ জন মাদ্রাসার ছাত্র মিলে বিবি সাহেবার মাজারে লাথি মেরে তাদের হাতে থাকা হাতুরি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে মাজারটি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়।
রুবেল জানায়,মসজিদের ভিতরে উচ্চস্বরে স্লোগান শুনে ভিতরে গিয়ে মাজার ভাঙ্গার দ্রশ্যটি ভিডিও করতে গেলে সন্ত্রাসীরা তাদের হাতে থাকা রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে তাকে আহত করে তার হাতে থাকা ক্যামেরাটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। উপস্থিত জনতা তাকে দ্রুত টঙ্গি নিয়ে আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করান ।
হযরত শাহ কবির (রহ:)মাজার স্টেট মসজিদের ভিতরে অবস্থিত বিবি সাহেবার মাজারটি ভেঙ্গে ফেলায় আশেকে রাসুল, আশেকান পাগল-ফকির ও এলাকার ভক্তদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃস্টি হয়েছে। তারা জানান ওলি আউলিয়াদের মাজারে যারা হামলা করে, আঘাত করে, লাথি মারে তারা কখোনও মোসলমান হতে পারেনা। ২শত বছর আগে গায়েবি ভাবে উঠে আসা বিবি সাহেবার মাজারটি হঠাৎকরে যাদের মদদে ভাঙ্গা হয়েছে আমরা তাদের বিচার চাই।
উত্তরখান হযরত শাহ কবির (রহ:)মাজার আশেকান ভক্তরা আরোও বলেন যারা বিবি সাহেবার মাজারটিকে ভিতরে রেখে ১৪ বছর আগে নতুন করে মসজিদ নির্মান করে, তাদের উচিৎ ছিল মাজারটিকে বাহিরে রেখে মসজিদ নির্মান করা। সে সময় বর্তমান ঈমাম ও খতিব লেহাজ উদ্দিনই মসজিদের দায়িত্বে ছিল। এত বছর পর কেন তিনি বিবি সাহেবার মাজারটি ভাঙ্গলেন আমরা এর বিচার চাই।
লালন ফকির ও শমশের ভান্ডারী বলেন, যারা ওলি আউলিয়াদের সম্মান করতে জানেনা, যারা আল্লাহর ওলিদের মাজারে আঘাত করে তাদের বিচার কবির শাহ বাবা এবং পাগলা শাহ বাবাই করবেন।
এ বিষয়ে ৪৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীনের নিকট সাংবাদিককে মারধর ও মাজার ভাঙ্গার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান বিষয়টি আমি শুনেছি এবং মসজিদের ঈমামসহ তাদের প্রতিনিধির সাথে কথা বলেছি। তবে সাংবাদিককে মারধর করে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়া এবং বিবি সাহেবার মাজারটি ভেঙ্গেফেলা খুবই দু:খজনক। মাজারটি পুন: নির্মানের ব্যাপারে তারা তিন দিনের সময় নিয়েছেন। আমি আসা করি এলাকাবাসির বৃহতস্বার্থে সীগ্রই মাজারটি পুন: নির্মান করা হবে এবং সাংবাদিক নির্যাতনের বিষয়টিও আমি দেখব।
সাংবাদিক নির্যাতন করে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়া ও মাজার ভাঙ্গার ঘটনায় উত্তরখান থানার ওসি তদন্ত জানান সাংবাদিক নির্যাতনের বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছিলাম তবে কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীন বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বস্থ্য করায় সাংবাদিকরা চলে যায়।