বুধবার সকালে পীরগাছা উপজেলার কৈকুড়ি ইউনিয়নের ইছলারহাটের চেংটুর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নওশাদ আলী রংপুর মিঠাপুকুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের কাচারি বাজার এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নওশাদ আলীর মেয়ের সঙ্গে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার রামধন এলাকার ওসমান গণির ছেলে আব্দুল করিমের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে নওশাদের মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যায় আব্দুল করিম। এ ঘটনায় করিমকে আসামি করে মিঠাপুকুর থানায় মামলা করেন নওশাদ আলী।
মামলা করার পরে পুলিশ মেয়েকে উদ্ধার করে বাবার জিম্মায় দেওয়াসহ আব্দুল করিমকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। ঐ মামলায় প্রায় ৩ মাস হাজতবাসের পর সম্প্রতি জামিনে বের হন আব্দুল করিম। প্রেমিক জামিনে বেরিয়ে আসার খবর পেয়ে আবারো নিখোঁজ হয় নওশাদ আলীর মেয়ে।
বুধবার সকালে নওশাদ আলী মেয়েকে খুঁজতে সন্দেহভাজন আব্দুল করিমের বাড়ির পথে রওয়ানা হয়। পথে ইছলারহাটের চেংটুর ব্রিজের কাছে উভয়ের দেখা হলে দুজনে বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত হন। এক পর্যায়ে নওশাদ আলীকে বেধড়ক পিটুনি দেন আব্দুল করিম। সেখানে নওশাদ আলী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় ইছলার হাটে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পীরগাছা থানার ওসি সেলিমুর রহমান জানান, নওশাদ আলীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রমেক হাসপাতালের মর্গে আছে। এ বিষয়ে থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।