নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: করোনার ‘হটস্পট’ নারায়ণগঞ্জের তিন এলাকার পরীক্ষামূলক লকডাউন কোনোরকম পূর্ব ঘোষণা ছাড়া হঠাৎ তুলে নেওয়া হয়েছে। বুধবার (১০ জুন) প্রথম প্রহরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে ওই এলাকাগুলোর প্রবেশপথের প্রতিবন্ধক সরিয়ে নেয় প্রশাসন। তবে নুতন করে রূপগঞ্জ উপজেলার একটি ইউনিয়নকে লকডাউনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে তারা।
লকডাউন তুলে নেওয়া ওই তিন এলাকা হচ্ছে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের জামতলা এমপি গলি, আমলাপাড়া এবং ফতুল্লার ভুইঘরের রূপায়ণ টাউন। এদিকে নতুন করে লকডাউন করা হবে রূপগঞ্জ উপজেলার রূপগঞ্জ ইউনিয়নকে।
নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘পরীক্ষামূলকভাবে লকডাউন দেওয়া ওই তিন এলাকার প্রবেশপথে বাঁশ দিয়ে এবং পুলিশ পাহারা বসিয়ে মানুষের চলাচল সীমিত করা হয়েছিল। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মঙ্গলবার (৯ জুন) জেলা প্রশাসনের ভার্চুয়াল মিটিং হলে জানতে পারি ওই এলাকাগুলো সবচেয়ে বেশি ঝুকিঁপূর্ণ না। তাই ওই তিন এলাকার লকডাউন তুলে নেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওই মিটিংয়ে নারায়ণগঞ্জের কোন এলাকায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ বাড়ছে তার মানচিত্র দেখানো হয়। সেই আলোকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের রূপগঞ্জ ইউনিয়নকে লকডাউন করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এলাকাটিকে ১৫ থেকে ২১ দিনের জন্য পরীক্ষামূলক হিসেবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।’
নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান এবং ফতুল্লা থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, নারায়ণগঞ্জের তিনটি স্পটের লকডাউন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। তিনটি এলাকায় পাইলট হিসেবে লকডাইন করা হয়েছিল। সংক্রমণের হার বিবেচনা করে অন্য এলাকা লকডাউন করা হবে।
রূপগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মমতাজ বেগম জানান, রূপগঞ্জ সদরের রূপগঞ্জ ইউনিয়নে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মানচিত্রে দেখে যায় এখানে ৭১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। প্রতিদিনই এই ইউনিয়নে সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে। স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা করে বিকাল থেকে রূপগঞ্জ ইউনিয়নকে লকডাউন করা হবে।