সিটিজেন প্রতিবেদক: আধুনিক বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে ভূমি সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে সন্তুষ্টির মাত্রা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সন্তোষজনক ভূমি সেবার জন্য ডিজিটাল ট্রান্সফর্মেশন অপরিহার্য। ভূমিসেবা নিশ্চিতে কর্মকর্তাদের সার্ভে-ও-সেটেলমেন্ট-প্রশিক্ষণের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে এবং তা প্রারম্ভিক পর্যায় সম্পন্ন করতে হবে। ভূমিসেবায় অনলাইন সংস্করণ যুক্ত হওয়ার ফলে দৈনিক গড়ে ১০-১২ কোটি টাকা রাজস্ব সরকারি কোষাগারে জমা হচ্ছে। সুষ্ঠ জরিপ কার্য সম্পাদনের মাধ্যমে ভূমিসেবায় নতুন মাত্রা যুক্ত হবে আর এ জন্য প্রশিক্ষণের ওপর গুরত্বারোপ করেন ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।
রোববার (২০ জুলাই) রাজধানীর ভূমি ভবনের সেমিনারকক্ষে ‘ভূমি মেলা ২০২৫’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ এবং ভিডিও বার্তার মাধ্যমে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ভূমি উপদেষ্টা বলেন, নামজারি, খতিয়ান, ভূমি উন্নয়ন করসহ ভূমিসংক্রান্ত সব সেবা এখন শতভাগ অনলাইন এবং পেমেন্ট ব্যবস্থা ক্যাশলেস করা হয়েছে। এতে করে প্রতিদিন গড়ে ১০-১২ কোটি টাকা রাজস্ব সরকারি কোষাগারে জমা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ভূমিসেবার মানোন্নয়নে সার্ভে ও সেটেলমেন্ট প্রশিক্ষণকে প্রাথমিক পর্যায়ে সম্পন্ন করা জরুরি। সুষ্ঠু জরিপ কাজের মাধ্যমে সেবায় নতুন মাত্রা যোগ হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ও ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে কিছু ডিজিটাল আইল্যান্ড তৈরি হয়েছে। এখন সময় এসেছে এগুলোকে আন্তঃসংযুক্ত করে সমন্বিত ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের। ভূমি মন্ত্রণালয় সেই পথেই এগোচ্ছে।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে ভূমি জরিপ কাজ সম্পন্ন হবে জিপিএস ও জিও-ফেন্সিং প্রযুক্তিতে। জমির মালিক চাইলে গুগল আর্থে জরিপ কার্যক্রম দেখতে পারবেন। এতে ভূমির ডিজিটাল ম্যাপ, মালিকানা, মামলা সংক্রান্ত তথ্য এবং রাজস্ব আদায়ের অবস্থা—অল ইন ওয়ান প্ল্যাটফর্মে পাওয়া যাবে। এটাই হবে সত্যিকারের ডিজিটালাইজেশন।
আলোচনা শেষে তারা ভূমি জাদুঘর পরিদর্শন করেন এবং মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।