নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের প্রথম থেকেই মাঠে কাজ করছেন সাংবাদিকরা। এর মধ্যে ৩২ শতাংশ সাংবাদিকের এখনও পর্যন্ত ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) নেই। ২৭ শতাংশ নিজ খরচে পিপিই সংগ্রহ করেছেন। আর ৭৬ শতাংশ সাংবাদিক প্রতিষ্ঠান থেকে কোনও রকম স্বাস্থ্যবীমা কিংবা চিকিৎসা ভাতা পান না।
সাউথ এশিয়া সেন্টার ফর মিডিয়া ইন ডেভেলপমেন্ট (সাকমিড) এর জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। সংস্থাটির উদ্যোগে ‘প্রোমোটিং মিডিয়া লিটারেসি ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্পের অংশ হিসেবে এ জরিপ পরিচালিত হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সাকমিড জানিয়েছে, মে মাসে ২০০ জন গণমাধ্যমকর্মীর ওপর গবেষণাটি চালানো হয়। এর মধ্যে ৯০ শতাংশ শহর এলাকায় কর্মরত এবং ১০ শতাংশ গ্রাম এলাকায় কর্মরত। সাংবাদিকদের সুরক্ষা বিষয় ছাড়াও গুজব, তথ্যের অবাধ প্রবাহ এবং কোভিড-১৯ এর সময়ে চ্যালেঞ্জ নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। ৪৫ শতাংশ সাংবাদিক জানান, তারা এই সময়টাতে যথেষ্ট অনুসন্ধানমূলক সাংবাদিকতা করতে পারছেন না। ৩৫ শতাংশ সাংবাদিক জানান, গুজবের কারণে সংবাদের উৎস খুঁজতে অসুবিধায় পড়ছেন। ৩৮ শতাংশ সাংবাদিককে পরিবারের সুরক্ষার কথা ভেবে পরিবার থেকে আলাদা থাকতে হচ্ছে। ২০ শতাংশ সাংবাদিককে করোনা বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের কারণে সরকারি- বেসরকারি হুমকির শিকার হতে হয়েছে। ২৭.৫ শতাংশ চাকরি হারানোর শঙ্কা আছেন। ৩০.৫ শতাংশ সাংবাদিক সময়মতো বেতন পাননি। ৩৫.৫ শতাংশ করোনাভাইরাসে আক্রান্তের ভয়ে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন। ৩৬ শতাংশ সাংবাদিক মনে করছেন, অতিরিক্ত গুজব ছড়িয়ে পড়ার একটি অন্যতম কারণ গণমাধ্যমগুলো সঠিক তথ্য দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। ৮৪ শতাংশ সাংবাদিক মনে করেন সরকার করোনা বিষয়ে যে তথ্য দিচ্ছে তা যথেষ্ট নয়। ৮৪ শতাংশ সাংবাদিক মনে করছেন, গ্রাম-শহর, ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবার কাছে তথ্য সঠিকভাবে পৌঁছাচ্ছে না। ৬৮ শতাংশ সাংবাদিক মনে করেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মাধ্যমে জনগণের কাছে ভুল তথ্য পৌঁছাচ্ছ । ৪১.৫ শতাংশ মনে করছেন, জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌছানোর মাধ্যমের অপ্রতুলতার কারণে গুজব ছড়াচ্ছে।
সাংবাদিকদের কল্যাণে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা ও উত্তরণে সাংবাদিক ইউনিয়ন, মালিকদের সংগঠন এবং সরকারের দায়িত্বরত মন্ত্রণালয় কোনও উদ্যোগ নিয়েছে কিনা– এ প্রশ্নের জবাবে ৫৯ শতাংশ সাংবাদিক বলেছেন, ইউনিয়ন কিংবা মালিক সংগঠনথেকে কোনও উদ্যোগ নেয়নি। ২৯ শতাংশ বলেছেন, তাদের জানা নেই। ৬৩ শতাংশ বলেছেন, সরকার থেকে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ৩৩ শতাংশ বলেছেন, তাদের জানা নেই।