বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক: লিফটের দরজা বন্ধ করে রাখা হলেও করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির কাশি থেকে নির্গত সংক্রামক কণাগুলো লিফটের ভেতর ৩০ মিনিট পর্যন্ত ঘুরে বেড়াতে পারে। নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বিভিন্ন অবস্থায় লিফটের ভেতর করোনা কণা কতক্ষণ স্থায়ী হয় তা নির্ধারণে গবেষণা করেছেন। দেখা গেছে, লিফটের দরজা বন্ধ করে রাখা হলে সংক্রামিত কণা আধা ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। তবে দরজা খোলা রেখে দিলে কণাগুলো দুই থেকে চার মিনিটের মধ্যে চলে যায়।
অন্যদিকে লিফটের নরমাল ব্যবহারে অর্থাৎ লিফটের দরজা বারবার খোলা এবং বন্ধ অবস্থায় করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির কাশি বা জোরে কথা বলা থেকে নির্গত ড্রপলেটস ১২ থেকে ১৮ মিনিট পর্যন্ত ভেসে বেড়ায়।
গবেষক দলটির মতে, করোনায় হালকা অসুস্থ রোগীদের স্পুটামের প্রতি মিলিলিটারে ভাইরাসটির ১০ হাজার থেকে ১ বিলিয়ন কপি থাকতে পারে। ১ বিলিয়ন কপির প্রতিটি অ্যারোসল ড্রপলেটে প্রায় ১টি ভাইরাস কণা থাকে। জোরে কথা বলা থেকে প্রতি মিনিটে কয়েক মিলিয়ন ড্রপলেট তৈরি হতে পারে, অন্যদিকে একবার কাশিতে কয়েক বিলিয়ন ড্রপলেট সৃষ্টি হতে পারে।
লিফটের ভেতর করোনা সংক্রামিত ব্যক্তির কথা বলা বা কাশির পর যদি আপনি শ্বাস নেন তাহলে তার মানে আপনি প্রতি মিনিটে কোভিড-১৯ রোগের কয়েক হাজার কণা গ্রহণ করছেন।
গবেষকরা আরো জানান, আক্রান্ত ব্যক্তি যত বেশি কথা বলে ড্রপলেটের পরিমাণ তত বেশি বাড়ে। লিফটে স্পেস কম থাকলে পরবর্তীতে যারা লিফটে উঠবে তাদের সহজেই এসব ড্রপলেটস সংক্রামিত করতে পারে, বিশেষ করে যদি ড্রপলেটস বাতাসে ভেসে থাকে।
গবেষকরা লিফটের দরজা যতটা সম্ভব দীর্ঘসময় খুলে রাখা এবং লিফটে কথা বলা বা কাশি এড়ানোর পাশাপাশি উপযুক্ত ফেস মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়া লেফটের মেকানিক্যাল ভেন্টিলেশন ক্যাপাসিটি বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।